প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
সর্দার সরোবর বাঁধ প্রকল্প দীর্ঘদিন আটকে রাখার পিছনে ছিলেন শহুরে নকশালরা। আজ এ ভাবেই শহুরে নকশালদের বিরুদ্ধে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে ভীমা কোরেগাঁও মামলার প্রেক্ষিতে বার বার শহুরে নকশালদের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।
আজ গুজরাতের নর্মদা জেলার একতা নগরে ভিডিয়ো মাধ্যমে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অব এনভায়রনমেন্ট মিনিস্টার’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময়ে শহুরে নকশাল প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মোদী। তাঁর অভিযোগ, গুজরাতে নর্মদা নদীর উপরে নির্মিত সর্দার সরোবর বাঁধ প্রকল্প দীর্ঘ সময় আটকে রেখেছিলেন শহুরে নকশালরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন উন্নয়ন বিরোধী কিছু মানুষ। নির্দিষ্ট রাজনৈতিক সমর্থনও এঁদের পিছনে ছিল বলে দাবি মোদীর। তাঁর অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতায় যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, এই প্রকল্পে পরিবেশের ক্ষতি হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পরে এখন স্পষ্ট, সেই দাবি কতটা ভিত্তিহীন ছিল। সঙ্গে মোদী জানান, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার থেকে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে ভারতের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন শহুরে নকশালরা।
মোদী জানিয়েছেন, শহুরে নকশালরা এখনও সক্রিয়। প্রধানমন্ত্রীর আবেদন, পরিবেশের দোহাই দিয়ে অনর্থক কোনও প্রকল্পের বিরোধিতা যেন করা না হয়। শহুরে নকশালদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ভারসাম্য রেখে চলার বার্তাও দিয়েছেন।
আজ পরিবেশ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে মোদী জানান, দেশে দ্রুত আর্থিক উন্নয়ন হচ্ছে। একই সঙ্গে শক্তিশালী হচ্ছে বাস্তুতন্ত্রও। অরণ্যের পরিসর বাড়ছে, সঙ্গে জলাভূমিও। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পরিবেশমন্ত্রীদের সামনে মোদী জানান, নিয়ন্ত্রকের পরিবর্তে পরিবেশ মন্ত্রকের অবস্থান হোক পরিবেশ সংক্রান্ত কর্মসূচীর প্রসারক হিসাবে। এ দিন দাবানল রুখতে প্রযুক্তির আশ্রয় নেওয়ার বার্তাও দিয়েছেন মোদী। সঙ্গে জানান, পরিবেশ সংক্রান্ত সুরক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণাগার কাজে লাগানোর বিষয়েও অগ্রাধিকার দিক রাজ্যগুলি। পরিবেশের সুরক্ষায় ‘পিএম গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান’ কার্যকর বলে দাবি করেছেন।
রাজ্যগুলির মধ্যে পরিবেশ সংক্রান্ত কাজের প্রসারে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতারও আহ্বান জানিয়েছেন। ‘গ্রিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকনমি’র উপরেও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে একযোগে কাজ করতে হবে।
উন্নয়নের কাজে পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্রের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায়। তাঁর বক্তব্য, যত দ্রুত ছাড়পত্র পাওয়া যাবে উন্নয়নের কাজও সেই গতিতে এগোনো সম্ভব হবে। পূর্বতন জমানাকে নিশানা করে মোদী জানান, আট বছর আগে পরিবেশগত ছাড়পত্র পেতে ৬০০ দিনেরও বেশি সময় লাগত। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৫ দিনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy