প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
কংগ্রেসের সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিলেন, বেঙ্গালুরুতে তাঁকে স্বাগত জানাতে না আসার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারকে নিজেই নিষেধ করেছেন তিনি। ইসরোয় বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানাতে আজ বিদেশ থেকে সরাসরি বেঙ্গালুরু পৌঁছন মোদী। কিন্তু প্রোটোকল ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর দফতর কী ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে আসতে নিষেধ করল, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। আজ এর জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ গতকালই টুইট করে বলেছেন, ‘‘কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী তাঁর আগেই ইসরোর বিজ্ঞানীদের সংবর্ধনা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মনে হয় বিরক্ত। সম্ভবত সেই কারণেই প্রোটোকলের বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁকে স্বাগত জানাতে মুখ্যমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে আসতে দিচ্ছেন না তিনি।’’ এর সঙ্গেই রমেশ বলেছেন, মনমোহন সিংহ প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় চন্দ্রযান-১ উৎক্ষেপণ সফল হওয়ার পর ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর আমদাবাদের স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে গিয়েছিলেন মোদী। তাঁর প্রশ্ন, মোদী কি এখন সেই সব কথা ভুলে গেলেন?
মোদীর এই ধরনের ‘সংকীর্ণ রাজনীতি’ নিয়ে কংগ্রেস প্রশ্ন তোলায় প্রধানমন্ত্রী আজ বলেন, ‘‘আমি ঠিক জানতাম না কোন সময়ে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছব। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে বলা হয়েছে এত সকালে কষ্ট করে বিমানবন্দরে না আসার জন্য।’’ আজ সকালে বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় করে থাকা জনতার উদ্দেশে মোদীর মন্তব্য, ‘‘রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীকে আমি নিজেই বলেছি, বৈজ্ঞানিকদের সঙ্গে দেখা করার পরই ফিরে যাব। আর জানতামও না ঠিক কখন বেঙ্গালুরুতে পৌঁছব। ফলে তাঁদের বলেছি, প্রোটোকল মেনে (স্বাগত জানাতে) আসার প্রয়োজন নেই।’’
বিতর্কের মধ্যে কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার বলেছেন, ‘‘যে সময়েই হোক না কেন, আমি কিংবা মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বার্তা দেওয়া হয় আমাদের। আমরা সেই বার্তার সম্মান করেছি। এই বিষয়ে কোনও রাজনীতির শরিক হতে চাইনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy