বিহারে বিধানসভা ভোটে লড়ছেন অভিনন্দন পাঠক। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
এক ঝলক দেখলে আলাদা করা যায় না। একেবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতোই দেখতে। আসল নাম অভিনন্দন পাঠক হলেও ‘নকল মোদী’, ‘গরিবের মোদী’, ‘ছোট মোদী’ বলেও ডাকা হয় তাঁকে। বক্তৃতাও দেন প্রধানমন্ত্রীর স্টাইলে। সেই অভিনন্দন এ বার বিহার ভোটের লড়াইয়ে। তবে মোদীর দলের হয়ে নয়। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে প্রতিশ্রুতি না রাখার জন্য একদা মোদী ভক্ত অভিনন্দনের রাগও আছে। গোপালগঞ্জ জেলার হথুয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি লড়ছেন বঞ্চিত সমাজ পার্টির হয়ে।
অভিনন্দনের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সহারনপুরে। তবে এখন ভোটের জন্য রয়েছেন বিহারের গোপালগঞ্জের ফুলয়ারিয়া ব্লকের সাভানাহা গ্রামে। অভিনন্দন জানিয়েছেন, হথুয়া বিহারের পিছিয়ে পড়া জায়গাগুলির অন্যতম। উন্নয়ন থেকে অনেক দূরে রয়েছে এই এলাকা। তাই সেখান থেকেই নির্বাচনে লড়ছেন তিনি। নিজের নির্বাচনে লড়া নিয়ে ‘নকল মোদী’ বলেছেন, ‘‘মোদীর সঙ্গে আমার মিল নেহাতই একটা দুর্ঘটনা। মোদী ক্ষমতা পেয়েছেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পালন করেননি। আমি রাজনীতিতে এসেছি গরীব মানুষের হয়ে লড়াই করতে।’’
হথুয়া কেন্দ্রে তাঁর লড়াই নীতীশ কুমার মন্ত্রিসভার সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী রামসেবক সিংহের বিরুদ্ধে। প্রতিদ্বন্দী সম্পর্কে অভিনন্দন বলেছেন, ‘‘রামসেবক সিংহ হথুয়া থেকে অনেকবারই জিতেছেন। কিন্তু এই এলাকায় কোনও উন্নতি তিনি করেননি।’’ বিহারে ভোটগ্রহণ মোট তিন দফায়। ২৮ অক্টোবর, ৩ এবং ৭ নভেম্বর। দ্বিতীয় দফায় ৩ নভেম্বর ভোট হথুয়াতে।
আরও পড়ুন: ভোটে জিতলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানালেন সুশীল মোদী
অভিনন্দনের নির্বাচনে লড়া কিন্তু এই প্রথম নয়। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর হয়ে প্রচারে নেমে নজরে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে মোহভঙ্গ হয় অভিনন্দনের। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তিনি খোদ মোদীর বিরুদ্ধেই নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন বারাণসী কেন্দ্রে। ওই নির্বাচনে বারাণসী ছাড়াও লখনউ কেন্দ্র থেকে লড়েছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy