বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পের অধীনে দিল্লির কালকাজিতে তৈরি হওয়া এই নতুন ফ্ল্যাটগুলি বুধবার ঝুপড়িবাসীদের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। (ইনসেটে) ফ্ল্যাটের ভিতরের ছবি। নিজস্ব চিত্র
গুজরাতে প্রচারের পর্ব আপাতত শেষ। বিজেপির পরের লক্ষ্য ডিসেম্বরে দিল্লির পুর নিগমের দখল নেওয়া। তবে ভোট লোকসভার হোক বা বিধানসভার, অথবা পুর নিগম পর্যায়ের, বিজেপির তারকা প্রচারক যে সেই নরেন্দ্র মোদীই, তা আজ আরও এক বার প্রমাণ হয়ে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। ৩০২৪ জন ঝুপড়িবাসীদের মাথার উপরে পাকা ছাদের ঘোষণা করে আজ বিজ্ঞান ভবনে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বার বার জানিয়েছেন, তাঁর সরকার দিল্লির পথবাসী এবং গৃহহারাদের ঝকঝকে আবাসন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিতে কী ভাবে বদ্ধপরিকর। মোদী জানিয়েছেন তাঁর এই বিপুল কৃতকর্মের জন্য তিনি বিজ্ঞাপন করতে চান না, কিন্তু দিল্লিকে আদর্শ শহর হিসেবে গড়ে তুলতে গরিব শ্রমিকদের সামনে নিয়ে আসতে চান। তাঁর কথায়, স্বাধীনতার পর থেকে গরিবদের সমস্যা শুধু তাঁদের নিজেদেরই ছিল। কিন্তু এখন দেশে গরিবদের সরকার। দিল্লির সাধারণ মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কী কী করেছে, তার দীর্ঘ তালিকাও আজ তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পের অধীনে দিল্লির কালকাজিতে তৈরি হওয়া নতুন ফ্ল্যাটগুলি আজ ঝুপড়িবাসীদের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। মঞ্চে কয়েক জনের হাতে চাবি দিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন তিনি। মোদীর কথায়, “বিজ্ঞান ভবনে তো অনেক সম্মেলন হয়। মানুষ আসেন কোট-টাই পরে। কিন্তুআজ উপস্থিত পরিবারগুলির মধ্যে যে উৎসাহ এবং উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে, তা বিরল। হাজার হাজার গরিব ভাইবোনেদের কাছে আজ একটি বড় দিন।”
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, সকলের জন্য বাড়ির ব্যবস্থা করার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন মোদী, তা পূরণ করতেই দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে ৩৭৬টি ঝুপড়িকে অধিগ্রহণ করে, সেখানে নতুন ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে। জুগ্গি-ঝুপড়িবাসীদের স্বাস্থ্যকর জীবন দেওয়ার লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা-সহ মোট ৩০২৪টি ফ্ল্যাট প্রথম দফায় গড়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির তরফে তিনটি প্রকল্পে কাজ শুরু করা হয়েছিল। এগুলি হল কালকাজি, জালিওয়ালা বাগ ও কাঠপুতলি নগর। কালকাজি এক্সটেনশন প্রকল্পের অধীনেই ভূমিহীন ক্যাম্প, নবজীবন ক্যাম্প ও জওহর ক্যাম্পের বাসিন্দাদের দফায় দফায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ, প্রথম দফায় ভূমিহীন ক্যাম্পে বসবাসকারীদের হাতে নতুন ফ্ল্যাট তুলে দেওয়া হল। ৩৪৫ কোটি টাকা খরচে এই ফ্ল্যাটগুলি তৈরি করা হয়েছে। ফ্লোর টাইলস, সেরামিক টাইলস ও উদয়পুরের সবুজ মার্বেল পাথর দিয়ে ফ্ল্যাটগুলির অন্দরসজ্জা করা হয়েছে। দু’টি জলের লাইন, লিফ্ট, পার্ক, ইলেকট্রিক সাব-স্টেশন সহ একাধিক সুবিধা রয়েছে এই আবাসনগুলিতে।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “গত সাত দশক ধরে দিল্লিতে কোনও সামগ্রিক উন্নয়ন হয়নি। শহরের এক প্রান্তে তৈরি হয়েছে চমকদার উঁচু উঁচু সব বাড়ি। অন্য প্রান্তে গড়ে উঠেছে ঝুপড়ি বস্তি। এক দিকের এলাকাকে বলা হয় অভিজাত। অন্য দিকের মানুষ শহরে থাকার মৌলিক সুযোগ-সুবিধাগুলো পান না। আমাদের সরকার গরিবদের কেন্দ্রে রেখেই নীতি নির্ধারণ করে। যে গরিবদের ঘাম-রক্তে শহরের বিকাশ হয়, তাঁরাই এই শহরের এক কোণে কোনও মতে পড়ে থাকেন। নির্মাণকর্মীরাই যদি পিছিয়ে যান, তবে নির্মাণ অসম্পূর্ণ থেকে যায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy