প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিল কংগ্রেস। মণিপুরের হিংসা নিয়ে মুখ না খোলা নরেন্দ্র মোদী, মণিপুরের পূর্ণরাজ্য দিবসে শুভেচ্ছা জানানোর পরেই সমালোচনার বন্যা বইল। প্রধানমন্ত্রী সমাজমাধ্যমে মণিপুরবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের উন্নয়নে মণিপুর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। রাজ্যের সংস্কৃতি ও পরম্পরা আমাদের সকলের গর্ব। মণিপুরের ধারাবাহিক উন্নয়ন কামনা করি।’
সদ্য মণিপুর সফর করা রাহুল গান্ধীও মণিপুর, মেঘালয় ও ত্রিপুরাবাসীকে রাজ্য দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘আপনাদের স্বতন্ত্র পরিচয়, বৈশিষ্ট্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও গর্বিত পরম্পরা বৈচিত্রময় ও ছন্দোবদ্ধ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাকে সংরক্ষিত ও সুরক্ষিত রাখতেই হবে।’ এর পরেই অসমের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “মণিপুরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বিজেপি। আট মাস ধরে মানুষ মারা যাচ্ছেন, হিংসা চলছে, গুলি চলছে, বাড়ি পুড়ছে। প্রধানমন্ত্রী আজ পর্যন্ত মণিপুর যাননি। কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী হলে তিন দিনের মধ্যে মণিপুরে যেতেন। চতুর্থ দিন আগুন নিভে যেত। প্রধানমন্ত্রী সেনাকে নির্দেশ দিলে, সেনা তিন দিনে হিংসা বন্ধ করে দিত। কিন্তু বিজেপি চায় না আগুন নিভুক। তাই প্রধানমন্ত্রী সেখানে যান না। সেনাকেও নির্দেশ দেন না। আমরা মণিপুরে গিয়ে ভ্রাতৃত্বের কথা, মানুষকে জোড়ার কথা বলেছি। তাঁদের বুকে টেনে নিয়েছি। তাঁদের কথা শুনেছি।” কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মণিপুরের রাজ্য দিবসে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন, কিন্তু গত বছর মে মাস থেকে রাজ্যের মানুষ যে অভূতপূর্ব হিংসা-অশান্তির সঙ্গে ঘর করছেন তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর বা রাজ্যে একটি বার আসার সময় পান না বা দরকার মনে করেন না তিনি।’’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও মণিপুরের পাশাপাশি মেঘালয় ও ত্রিপুরাকে শুভেচ্ছা জানান। মণিপুর কংগ্রেসের মতে, প্রধানমন্ত্রীর নীরবতার চেয়েও তাঁর এই শুভেচ্ছাবার্তা বেশি অপমানকর ও ব্যঙ্গাত্মক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy