(বাঁ দিক থেকে) নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনা। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির জরুরি বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আয়োজিত বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রিন্সিপাল সচিব পিকে মিশ্র, ‘র’-এর প্রধান রবি সিন্হা এবং গোয়েন্দা বিভাগের (আইবি)-র ডিরেক্টর তপন ডেকা।
গণবিক্ষোভের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে ভারতে আসেন। গাজ়িয়াবাদের হিন্ডন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে অবতরণের পর সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের মুখ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল গিয়ে সাক্ষাৎ করেন হাসিনার সঙ্গে। হাসিনার দেশত্যাগের পরে তাঁর সরকারি বাসস্থান ‘গণভবন’, সংসদ ভবন, তাঁর দল আওয়ামী লীগের ছোট-বড় দফতরের পাশাপাশি হামলার শিকার হয়েছে ঢাকায় ইন্দিরা গান্ধীর নামাঙ্কিত ‘ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’। বুলডোজার এনে ভাঙা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি!
অশান্তির এই আবহে নতুন করে বাংলাদেশের নাগরিকদের একাংশের মধ্যে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সদ্যপ্রাক্তন শাসকদল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এই তালিকায় সে দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীও থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ‘নিষিদ্ধ’ কট্টরপন্থী সংগঠন জামাতে ইসলামি নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে। অতীতে হিন্দু, বৌদ্ধ-সহ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উপর একাধিক বার হামলার অভিযোগ রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং পাকিস্তানপন্থী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy