জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে মঙ্গলবার দুপুরের জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের তিন বাসিন্দা। আহত আরও অনেকে। মঙ্গলবার রাতেই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার সকালে তিনি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহতদের শেষ শ্রদ্ধাও জানান। কথা বলেন তাঁদের পরিজনদের সঙ্গে। জরুরি পরিস্থিতিতে উপত্যকায় পৌঁছেছে জাতীয় তদন্তকারী দল এনআইএ।
পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকরের ছায়া সংগঠন টিআরএফ-এর সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বৈসরন উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। রাতে হত্যালীলার দায় স্বীকার করে বিবৃতিও দিয়েছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠীটি। সেই আবহে বুধবার সকালে এক জন আইজির নেতৃত্বে উপত্যকায় পৌঁছোন এনআইএ-র গোয়েন্দারা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, হামলার ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং স্থানীয় পুলিশকে সহায়তা করবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গত বছরের জুন মাসেও জম্মু-কাশ্মীরের রেইসি জেলায় পুণ্যার্থীদের একটি বাসে হামলা চালিয়েছিল টিআরএফ। মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ১০ জন পুণ্যার্থীর।
আরও পড়ুন:
টিআরএফের উত্থান ২০১৯ সালে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ হওয়ার পর। টিআরএফের জন্ম হয়েছিল কাশ্মীরি জঙ্গি শেখ সাজ্জাদ গুলের হাতে। সে সময় জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’-র সদ্য অবলুপ্তি হয়েছে। ঠিক সেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেই লশকরের ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। উপস্থিতি জানান দিতে সে সময় লশকর, জৈশ-ই-মহম্মদ-সহ একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর থেকে এই সংগঠনে সদস্যদের নিযুক্ত করা হয়। এদের মূল লক্ষ্য ছিল, কাশ্মীরের স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো এবং ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা। সেই লক্ষ্য সাধনের জন্য নাশকতামূলক কাজকর্মে পুনর্বিন্যাস আনার চেষ্টা শুরু করে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। বিশেষ ভাবে নিশানা করা হয় পরিযায়ী শ্রমিক এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, টিআরএফ জঙ্গিগোষ্ঠীর দ্রুত আড়ে-বহরে বিস্তারের নেপথ্যে সরাসরি ভূমিকা ছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। ২০২৩ সালে টিআরএফকে ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’ হিসাবে চিহ্নিত করে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র।
- জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবারের জঙ্গিহানার ঘটনায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের মতে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ-ছ’জন।
- জম্মু-কাশ্মীরে ছুটি কাটাতে গিয়েছিল কর্নাটকের এক পরিবার। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় মঞ্জুনাথ রাওয়ের। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন স্ত্রী পল্লবী এবং তাঁদের পুত্র। কর্নাটকের শিবমোগ্গার বাসিন্দা পল্লবীর দাবি, অতর্কিত তাঁদের আক্রমণ করে তিন থেকে চার জন। তাঁর স্বামীকে খুন করার পর ওই চার জনের এক জন বলে, ‘‘তোকে মারব না। যা, মোদীকে গিয়ে বল।’’
-
০৮:৫৯
কাশ্মীরে খুব বড় মাস্টারমাইন্ড সক্রিয় হয়েছে, নিঃশব্দে কমানো হয়েছে শিয়া-সুন্নি দূরত্ব, নিশ্চিন্ত হওয়ার সুযোগ নেই উপত্যকায় -
০৭:৫২
কণ্ঠে কোরান, দখল আরবি-উর্দুতে, জ়িয়ার ভাবশিষ্য পাক সেনাপ্রধানের ‘জিহাদ-জ্বরের’ কুকীর্তি ফাঁস করল ভারত -
১৯:২১
যুদ্ধ হলে কী করবেন? সাধারণ নাগরিকদের সচেতন করতে কয়েকটি রাজ্যে মহড়ার নির্দেশ দিল অমিত শাহের মন্ত্রক -
১৮:২৫
খেলনা রাফালে লেবু-লঙ্কা ঝুলিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা মোদীর প্রতিদ্বন্দ্বীর! বিজেপি বলল ‘দেশদ্রোহিতা’ -
১৮:২১
কয়েক দশক ধরে মোরাদাবাদে বাস ২২ পাক মহিলার, রয়েছে শ’খানেক ছেলেমেয়ে, এ বার নজরে তাঁরাও