‘ব্রিকস’-এর ভার্চুয়াল শীর্ষবৈঠকে মোদী-সহ পাঁচ রাষ্ট্রনেতা। ছবি: সংগৃহীত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে আফগানিস্তান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা ‘ব্রিকস’ রাষ্ট্রগোষ্ঠীর শীর্ষবৈঠকে। বৃহস্পতিবার ‘ব্রিকস’-এর এই ভার্চুয়াল শীর্ষবৈঠকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস মোবাবিলায় যৌথ উদ্যোগের প্রস্তাব সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত হয়। কাবুলে তালিবান দখলদারির পর ‘ব্রিকস’-এর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন মোদী।
ভার্চুয়াল বৈঠকে মোদী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের পক্ষে তার প্রতিবেশীদের কাছে সন্ত্রাস এবং মাদক পাচারের উৎস হয়ে ওঠা কাম্য হবে না।’’ এ প্রসঙ্গে বিগত কয়েক দশক ধরে আফগান নাগরিকদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন তিনি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার উপস্থিতিতে আয়োজিত ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজক দেশ হিসেবে কার্যত সভাপতির ভূমিকা পালন করেন মোদী।
Was delighted to host the virtual #BRICS Summit in the 15th year of BRICS. BRICS has taken many new initiatives during India's Chairship. Called for BRICS to contribute to post-COVID global recovery on the motto 'Build-back Resiliently, Innovatively, Credibly, and Sustainably'.
— Narendra Modi (@narendramodi) September 9, 2021
বৃহস্পতিবারের শীর্ষবৈঠক প্রসঙ্গে মোদী টুইটারে লেখেন, ‘ব্রিকস-এর পঞ্চদশ শীর্ষ বৈঠকের আয়োজক হিসেবে আমি খুশি। ভারতের সভাপতিত্বে ব্রিকস কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে। কোভিড পরবর্তী বিশ্বের কাছে স্থায়ী, উদ্ভাবনী, বিশ্বাসযোগ্য এবং সুস্থিত পুনর্গঠনের বার্তা দিচ্ছে ব্রিকস।’
We discussed important regional and global issues. Thanked BRICS partners whose support helped India's chair achieve many firsts. BRICS agenda now spans culture and communications; sports and space; disaster resilience and digital health; employment and environment, and more.
— Narendra Modi (@narendramodi) September 9, 2021
প্রসঙ্গত, তালিবানের কাবুল দখলের পরে গত ২৪ অগস্ট ‘ব্রিকস’-এর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছিল। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই বৈঠকের আলোচ্যসুচিতে ছিল ‘ভবিষ্যতের সন্ত্রাস মোকাবিলা’র প্রসঙ্গ।
ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত ‘ব্রিকস’-এর শীর্ষবৈঠকের ঘোষণাপত্রে আফগানিস্তান পরিস্থিতির উল্লেখ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ দু’টি দেশ— চিন এবং রাশিয়া, গোড়া থেকেই তালিবানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। তারা রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদেও আফগানিস্তান সংক্রান্ত প্রস্তাবে ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছে। কাবুলে তালিবানের সরকার গড়ার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণও পেয়েছে চিন এবং রাশিয়া। যদিও ‘সার্ক’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশ হওয়া সত্ত্বেও নয়াদিল্লি সেখানে অনাহূত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy