প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
এক দিকে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা টিআরএস নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)-কে নাম না করে দুর্নীতি ও পরিবারবাদ নিয়ে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্য দিকে অন্ধ্রপ্রদেশে বিশ্বের নিরিখে দেশের উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরলেন।
আজ প্রধানমন্ত্রী ভারতের সম্পর্কে বিশ্বের প্রত্যাশা তুলে ধরেছেন। জানিয়েছেন, “আমরা উন্নয়নের এক নতুন অধ্যায় লিখছি।” সঙ্গে জানান, যখন বহু দেশে আর্থিক সঙ্কট, সেই সময়ে গোটা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে।
আজ অন্ধ্র ইউনিভার্সিটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গ্রাউন্ডে পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করেন মোদী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিটি অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল বি হরিচন্দন, মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন্মোহন রেড্ডি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখানে মোদী জানান, প্রতিটি প্রকল্পের পিছনে লক্ষ্য থাকে মানুষের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলা। সরকার সমন্বয়করণের উপরে জোর দিচ্ছে বলেও জানান। এ ক্ষেত্রে ‘পিএম গতিশক্তি মাস্টার প্ল্যান’-এর উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, এর ফলে এক দিকে যেমন উন্নয়নের গতি বেড়েছে অন্য দিকে কমেছে ব্যয়ও। সরকারি নীতির ফলে ড্রোন থেকে গেমিং, মহাকাশ সংক্রান্ত বিষয় থেকে স্টার্ট আপ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে।
এর পাশাপাশি জনকল্যাণমূলক প্রকল্পও তুলে ধরেছেন। এক দিকে বিনামূল্যে রেশন, অন্য দিকে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ৬ হাজার টাকা করে দেওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন তিনি।
অন্ধ্রপ্রদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে এন বেঙ্কাইয়া নায়ডু এবং মেঘালয়ের রাজ্যপাল কে হরিবাবুর ভূমিকাও তুলে ধরেছেন মোদী।
অন্য দিকে তেলঙ্গানা নিয়ে মোদী জানান, সে রাজ্যের প্রয়োজন এমন এক সরকার, যাদের লক্ষ্য হবে পরিবার নয়, মানুষই প্রথম। অনেকেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, কঠোর পরিশ্রমের পরেও কী ভাবে তিনি ক্লান্ত না হয়ে কাজ করে যান? মোদীর উত্তর, “আমি ক্লান্ত হই না, কারণ প্রতিদিন দু’থেকে তিন কেজি গালি খাই... ভগবানের আশীর্বাদে সেই গালিই আমার মধ্যে পুষ্টি হিসাবে কাজ করে, যতে একে ইতিবাচক হিসাবে নিতে পারি।” এর পরেই তিনি বলেন, “মোদীকে হেনস্থা করুন, বিজেপিকেও... কিন্তু যদি তেলঙ্গানার মানুষকে হেনস্থা করেন, তা হলে এর ভারি মূল্য চোকাতে হবে।”
মোদী জানান, কেউ ভয়ে আবার কেউ কুসংস্কারগ্রস্ত হয়ে তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মোদীর আবেদন, এই ফাঁদে পা দিয়ে কেউ যেন পথভ্রষ্ট হয়ে না-পড়েন। গত ২০-২২ বছরে নানা প্রকারের হেনস্থা সহ্য করেছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কখায়, “আমাকে গালি দিতে দিতে অনেকের অভিধানও শেষ হয়ে গিয়েছে।”
এক দিকে অন্ধ্রে গিয়ে উন্নয়ন নিয়ে নানা বক্তব্য তুলে ধরেছেন মোদী অন্য দিকে কেন্দ্রের উন্নয়নমূলক প্রকল্প তেলঙ্গানা সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে গোপন করছে বলেও অভিযোগ করেছেন। কেসিআররে কুসংস্কার নিয়েও সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কোথায় থাকবেন, অফিসের অবস্থান, মন্ত্রী কে হবেন, কাকে সরানো হবে— সবটাই কুসংস্কারগ্রস্ত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন মোদী। সামাজিক ন্যায়ের পথে এ এক বিরাট বাধা বলেও মন্তব্য করেন। এর পাশাপাশি মোদী জানান, তথ্যপ্রযুক্তির কেন্দ্রে রয়েছে এই রাজ্য। কিন্তু সেখানকার মতো আধুনিক জায়গায় কুসংস্কারকে মদত করা হচ্ছে। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কুসংস্কার নির্মূল করার আহ্বান জানিয়েছেন মোদী। এর পরেই তেলঙ্গানা সরকারের দুর্নীতির তুলে অভিযোগ জানিয়ে মোদী বলেছেন, ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যম দুর্নীতি অনেকটাই রুখে দেওয়া গিয়েছে। আর সেটা করা গিয়েছে কেন্দ্রের চেষ্টায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy