Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National News

বুলেট ট্রেন প্রকল্পের শিলান্যাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী গুজরাতে

মোদী আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন। বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ আমদাবাদ পৌঁছলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রীও। বিমানবন্দরেই তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন নরেন্দ্র মোদী। এই আমদাবাদেই আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেশের প্রথম বুলেট ট্রেনের ভিত্তিপ্রস্তর হবে। বিজেপি যদিও নির্বাচনী চমকের প্রসঙ্গটি সযত্নে এড়িয়েই গিয়েছে।

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে করমর্দন করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। ছবি:এপি।

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে করমর্দন করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। ছবি:এপি।

সংবাদ সংস্থা
আমদাবাদ শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৭:৪১
Share: Save:

কয়েক মাস বাদেই রাজ্যে নির্বাচন। তার আগে নিজের রাজনৈতিক গড় গুজরাতেই বুলেট ট্রেন প্রকল্পের শিলান্যাস করাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চমকের আরও বাকি ছিল। সেই শিলান্যাসের জন্য জাপান থেকে উড়িয়ে আনলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে। এই বুলেট ট্রেন প্রকল্প জাপানি সহয়তাতেই হচ্ছে।

মোদী আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন। বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ আমদাবাদ পৌঁছলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রীও। বিমানবন্দরেই তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন নরেন্দ্র মোদী। এই আমদাবাদেই আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেশের প্রথম বুলেট ট্রেনের ভিত্তিপ্রস্তর হবে। বিজেপি যদিও নির্বাচনী চমকের প্রসঙ্গটি সযত্নে এড়িয়েই গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারতে আসছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী, শীঘ্রই চাকা গড়াবে বুলেট ট্রেনের!

২০২২-এর ১৫ অগস্ট থেকে এ দেশে চলবে দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে রেল মন্ত্রক। রেলমন্ত্রী পিযূষ গয়াল জানিয়েছেন, ২০২২ সালের মধ্যেই মুম্বই থেকে আমদাবাদ পর্যন্ত দেশের প্রথম বুলেট ট্রেনের কাজ শেষ হয়ে যাবে। স্বাধীনতা দিবসের দিনই দেশের দ্রুততম এই ট্রেনের চাকা প্রথম গড়াবে। সে বছর আবার স্বাধীনতা দিবসের ৭৫তম বর্ষ।

পরিকল্পনামাফিক প্রাথমিক স্তরে মুম্বই থেকে আমদাবাদের মধ্যে বসবে বুলেট ট্রেনের লাইন। মুম্বই থেকে আমদাবাদ পর্যন্ত প্রায় ৫০৮ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করবে এই ট্রেন। গড়ে ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে চলবে এই ট্রেন। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। ভারতের যে কোনও দ্রুততম ট্রেনের থেকে যা অনেক বেশি। ফলে ৫০৮ কিলোমিটার যে পথ অতিক্রম করতে এখন সময় লাগে সাত ঘণ্টা মতো, সেটাই কমে দাঁড়াবে দু’ঘণ্টায়। গোটা পথটিতে থাকবে ১২টি স্টেশন। বান্দ্রা থেকে কুরলা পর্যন্ত এই ট্রেন সমুদ্রের নীচ দিয়ে যাবে। প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে ৮১ শতাংশ অনুদান দেবে জাপান। চুক্তি অনুযায়ী ৫০ বছরে ০.১ শতাংশ সুদের হারে এই টাকা ফেরত দিতে হবে ভারতকে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE