প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
৭৪তম ‘মন কি বাত’-এ দেশবাসীকে জল নিয়ে দায়িত্ববান হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার মোদী বললেন, ‘‘সামনেই গ্রীষ্মকাল। দেশবাসীকে জল সংরক্ষণের ব্যাপারে দায়িত্ববান হতে হবে। বৃষ্টির জল সংরক্ষণের জন্য খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক ‘ক্যাচ দ্য রেন’ প্রকল্প আনতে চলেছে। জলাশয় পরিষ্কার করে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করার চেষ্টা করা হবে ওই প্রকল্পে।’’ ২০১৯ সালের গ্রীষ্মে চেন্নাইয়ের জলসঙ্কট মাত্রা ছাড়িয়েছিল। সে বারও ‘মন কি বাত’-এ জল সংরক্ষণের কথা বলেছিলেন মোদী। তবে তখন মোদী বলেছিলেন, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কারণ বর্ষার যে জল পাওয়া যায়, তার মাত্র ৮ শতাংশ সংরক্ষণ করা সম্ভব। আর সেই জলে জলসঙ্কটের মোকাবিলা সম্ভব নয়। দেড় বছর পর সেই বৃষ্টির জলেই জলসঙ্কটের সমাধান খোঁজার কথা বললেন তিনি।
তবে জলসংরক্ষণ ছাড়াও রবিবার মোদীর ‘মন কি বাত’-এ উঠে এল ‘আত্মনির্ভর’ ভারত, জাতীয় বিজ্ঞান দিবস এমনকি প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র আক্ষেপের কথাও।
সামনে পশ্চিমবঙ্গের ভোট। অনেকেই মনে করেছিলেন, ‘মন কি বাত’-এ ভোট নিয়ে কিছু হয়তো বলবেন মোদী। কিন্তু, তিনি সে দিকে গেলেন না। বরং তামিলনাড়ু কিছুটা গুরুত্ব পেল তাঁর বক্তৃতায়। বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলার সময় তাঁর কথায় উঠে এল বিজ্ঞানী সিভি রমনের নাম। যিনি ছিলেন তামিল। অনুষ্ঠানের শেষ প্রশ্নোত্তর পর্বে তামিল ভাষা শিখতে না পারাকে জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ বলে জানালেন মোদী।
রবিবার মোদী বলেন, ‘‘আত্মনির্ভর ভারতকে শুধু একটি কেন্দ্রীয় নীতি ভাবলে ভুল হবে। আত্মনির্ভরতা আসলে একটা জাতীয় বোধ। দেশের তৈরি জিনিসের প্রতি ভালবাসা, মমত্ববোধ এবং সমর্থনই এর মূল ভাবনা। দেশের কুটির শিল্প, হস্ত শিল্প দেশে তৈরি জিনিস নিয়ে গর্ববোধ তার প্রতি মর্যাদাই পারে এই বোধকে আরও দৃঢ় করতে। আর যখন সেটা হবে, তখনই প্রকৃত অর্থে আত্মনির্ভর হবে ভারত।’’
খুব শীঘ্রই দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পরীক্ষাপর্ব শুরু হবে। মোদী মনে করিয়ে দিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের জন্য তাঁর লেখা বই ‘এক্সাম ওয়ারিয়র’-এর কথা। মোদী বলেছেন, ‘‘বইয়ের নতুন সংস্করণে অনেক নতুন অধ্যয় যোগ করেছি। তেমনই একটি অধ্যয়ে রয়েছে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের প্রতিও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ।’’
তবে পরীক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি রবিবার ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার ব্যাপারেও উৎসাহিত করেছেন মোদী। রবিবার ছিল ‘জাতীয় বিজ্ঞান দিবস’। ছাত্রছাত্রীদের মোদী বলেন, ‘‘আমরা ভাবি বিজ্ঞান মানেই বোধ হয় ভৌত বিজ্ঞান, রসায়ন কিংবা গবেষণাগারের মতো কঠিন বিষয়। আসলে কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। বিজ্ঞানের পাশাপাশি বিজ্ঞানীদের জীবন নিয়েও পড়াশোনা করা উচিত দেশের তরুণ প্রজন্মের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy