—প্রতীকী চিত্র।
মিজ়োরামে ফের ভয়াবহ আকার নিয়েছে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু। পরিস্থিতি এমনই যে মিজ়োরামের বিভিন্ন জেলায় রোজ শ’য়ে শ’য়ে শূকর মারা যাচ্ছে। প্রতি দিন জবাই করা হচ্ছে আরও অন্তত ২০০ শূকর।
বৃহস্পতিবার মিজ়োরামের পশুপালন ও ভেটেরিনারি (এএইচভি) বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু-র প্রাদুর্ভাবের কারণে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রাজ্যে ৫৪৪০-এর কাছাকাছি শূকরের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত আরও প্রায় ১০,৩০০ শূকরকে জবাই করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ২০ কোটিরও বেশি লোকসানের মুখে রাজ্যের শূকর চাষিরা।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মিজ়োরামের আইজ়ল, চাম্পাই, লুংলেই, খাওজ়াওল, সেরচিপ প্রভৃতি জেলার মোট ১৬০ টিরও বেশি গ্রামে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। এএইচভি-র তরফে কয়েকটি গ্রামকে সংক্রমিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
মিজ়োরামে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু প্রথম ধরা পড়ে ২০২১ সালের মার্চে। বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত লুংলেই জেলার লুংসেন গ্রামে। এর পর থেকে প্রায় প্রতি বছরই এক বার করে রোগটির পুনরাবির্ভাব ঘটে। এই রোগে ২০২১ সালে ৩৩৪২০, ২০২২সালে ১২৮০০ এবং ২০২৩ সালে ১০৪০ টি শূকরের মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পার্শ্ববর্তী দেশ ও রা়জ্য থেকে আক্রান্ত শূকর অথবা শূকরের মাংস আমদানি থেকেই এই বিপত্তি।
শূকরের মাংসের নানা পদ সারা উত্তর-পূর্ব ভারত জুড়েই জনপ্রিয়। যে কারণে এই প্রাণী সেখানকার জনজীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জুড়ে রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতে শূকরের মাংসের ব্যবসা থেকে প্রতি বছর কয়েক হাজার কোটি টাকা আয় হয়। সেই ব্যবসাই আপাতত লোকসানের মুখে।
সরকার এখনও পর্যন্ত কয়েকশো’রও বেশি শূকর চাষির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। সংক্রমণ রুখতে মিজ়োরামে আক্রান্ত এলাকাগুলি থেকে শূকর ও শূকরের মাংস সরবরাহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রতিবেশী অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি মায়ানমার ও বাংলাদেশ থেকেও শূকর আমদানি নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy