Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Pema Khandu

অরুণাচল প্রদেশে আবার পেমা খান্ডুকেই মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিল বিজেপি, শপথ নেবেন বৃহস্পতিবার

লোকসভা ভোটের সঙ্গেই এ বার ৬০ সদস্যের অরুণাচল বিধানসভা ভোট হয়েছিল। নির্বাচনের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পেমা-সহ বিজেপির ১০ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিলেন।

পেমা খান্ডু।

পেমা খান্ডু। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৪ ১৯:৫৯
Share: Save:

টানা তৃতীয় বার অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বিজেপি নেতা পেমা খান্ডু। বুধবার রাজধানী ইটানগরে দলের দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক, রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং তরুণ চুঘের উপস্থিতিতে নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদের বৈঠকে সর্বসম্মত ভাবে তাঁকে পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন পেমা।

লোকসভা ভোটের সঙ্গেই এ বার ৬০ সদস্যের অরুণাচল বিধানসভা ভোট হয়েছিল। নির্বাচনের আগেই বিধানসভার ১০টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিল বিজেপি। পেমাও মুক্তো বিধানসভা আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতেন। যে ৫০টি আসনে ভোট হয়েছিল তার মধ্যে ৩৬টিতেই জিতে ৪৬-এ পৌঁছে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী পেমার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন বিজেপি। পাঁচটিতে মেঘালয়ের শাসকদল এনপিপি। বাকি তিনটিতে অজিত পওয়ারের এনসিপি, দু’টিতে পিপল্স পার্টি অফ অরুণাচল (পিপিএ), একটিতে কংগ্রেস এবং তিনটি আসনে নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন।

২০১৪-র বিধানসভা ভোটে জিতে অরুণাচলে কংগ্রেস সরকার গঠন করলেও পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রী পেমা অধিকাংশ বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৯-এর ভোটে সেখানে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছিল পদ্মশিবির। এ বার কংগ্রেস, এনপিপির মতো বিরোধী দলগুলি থাকলেও সেখানে বিজেপির ক্ষমতা পুনর্দখল কার্যত নিশ্চিত বলেই বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত ছিল। কার্যক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। প্রসঙ্গত, পেমার বাবা প্রয়াত দোরজি খান্ডু অরুণাচলের বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।

গত ১৫ বছরে ইটানগরে বহু বার রাজনৈতিক টানাপড়েন হয়েছে। এক সময় কংগ্রেস দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল অরুণাচল। ২০১১ সালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পেমার পিতা তথা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দোরজির মৃত্যু হয়। এর পরে অশান্তি শুরু কংগ্রেসের অন্দরে। প্রথমে জারবম গ্যামলিন মুখ্যমন্ত্রী হন। কংগ্রেসে শুরু হয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কিন্তু কংগ্রেস হাইকমান্ডের সমর্থনে ক্ষমতা দখল করেন নাবাম টুকি। ২০১৪ সালের ভোটে কংগ্রেস ৪২ আসনে জিতলে টুকি ফের মুখ্যমন্ত্রী হন।

কিন্তু কালিখো পুলের নেতৃত্বে পেমা-সহ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কেরা তাঁকে সরিয়ে বিজেপির সমর্থনে সরকার গড়েন। মামলা আদালতে গড়ায়। রাষ্ট্রপতি শাসনে টুকি ক্ষমতা ফিরে পেলেও কংগ্রেস নেতৃত্ব পেমার এবং তাঁর অনুগামীদের দাবি মেনে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করেন। পরে পেমার নেতৃত্বে অধিকাংশ বিধায়ক দলবদল করে পিপিএতে যোগ দেন। আঞ্চলিক দল পিপিএ সরকার গড়ে। পরে তাঁরা ফের দল বদলে বিজেপিতে যোগ দেন। এর পর ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে জিতে বিজেপি অরুণাচলে ক্ষমতা দখল করে। এ বারও বজায় থেকেছে সেই জয়ের ধারা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy