প্রতীকী ছবি।
পেশায় তিনি সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। করোনা রোগীদের পরিষেবা দিতে গিয়ে নিজেই সংক্রমিত হয়েছেন বলে তাঁর দাবি। ভর্তি হয়েছেন এক কোভিড হাসপাতালে। সেখানকার অব্যবস্থা দেখে মোবাইলে ভিডিয়ো তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। কিন্তু প্রশাসনের বক্তব্য, ‘বড্ড বেশি আশা’ করছেন ওই রোগী।
ঘটনা উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি জেলার। ‘দেওয়া’ নামে ওই জেলারই এক শহরের সরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড বয়। আপাতত তাঁর ঠিকানা যে হাসপাতালটি, সেটি বেসরকারি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সেটিকে নিয়ে ‘লেভেল-১ কোভিড হাসপাতাল’ করেছে। সেখানেই ভিডিয়ো তুলে ওই ওয়ার্ড বয় বলেছেন, ‘‘গত ১৬ ঘণ্টা এখানে পড়ে রয়েছি, হাসপাতালের এক জন কর্মীও আমায় দেখতে আসেননি। অন্যরা আমাকে বললেন, গত ৬ দিন ধরে আইসোলেশন ওয়ার্ড জীবাণুমুক্ত করা হয়নি।’’
করোনা-পরিস্থিতিতে নিজের কর্মস্থলে কী ভাবে তাঁকে কাজ করতে হত, তিন মিনিটের ভিডিয়োয় তা-ও বলেছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর দাবি, ‘‘১০ বার নমুনা সংগ্রহ করতাম, আর পিপিই পেতাম এক বার। ১০ বছর স্বাস্থ্য দফতরে কাজ করছি, গত চার মাসে একটা দিনও ছুটি নিইনি। উল্টে আমারই যে কোভিড হয়ে গেল, তাতেও আমার কিছু যায়-আসে না। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী হিসেবে ন্যূনতম পরিষেবাটুকু তো পাওয়া উচিত।’’ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে-পড়া ভিডিয়োটি সরকারি কর্তারাও দেখেছেন। বারাবাঁকির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেশ চন্দ্র বলেন, ‘‘অনেক কিছু আশা করার পরে সেটা পূর্ণ না-হলে খারাপ লাগে। আমার মনে হয়, এ ক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছে। ওই ব্যক্তি এক জন ওয়ার্ড বয়। তাঁর ওয়ার্ডের পাশে, আলাদা ঘরে ভর্তি আছেন বুনিয়াদি শিক্ষা বিভাগ (বিএসএ)-র এক জন আধিকারিক। সবাইকে আলাদা ঘর দেওয়া সম্ভব নয়। হয়তো তাই ওঁর খারাপ লেগেছে।’’
ভিডিয়োতে ওই ব্যক্তির অবশ্য সাফ কথা, ‘‘দেশের সেবা করতে গিয়ে অসুস্থ হয়েছি। এটা আমার একার দায় নয়।’’ গত কাল উত্তরপ্রদেশেরই গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। অভিযোগ তুলেছিলেন, নর্দমা ছাপিয়ে গিয়ে ভাসছে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ড। পরে গোরক্ষপুরের জেলাশাসক ওই ওয়ার্ডেরই একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে জানান, প্রবল বৃষ্টিতে জল ঢুকে পড়েছিল ওয়ার্ডে। তা পরিষ্কার করাও হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy