প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘ উৎকণ্ঠার প্রহর পেরিয়ে দশমের ফল হাতে পেল সিবিএসই-র পড়ুয়ারা। দ্বাদশের ফল জানার মতো ঝক্কি দশমে পোহাতে হল না। যদিও একাদশে ভর্তির ভবিষ্যৎ কী হবে, জীবনের প্রথম ‘বড় পরীক্ষার’ চৌকাঠ ডিঙিয়েও কবে মিলবে স্কুলে ফেরার সুযোগ— এমন অনেক প্রশ্নই ভিড় করে রয়েছে তাদের মনে।
উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে থমকে গিয়েছিল দশমের পরীক্ষা। তার পরে করোনা এবং লকডাউন। দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকা এবং ভবিষ্যৎ ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় প্রবল চাপে দশম এবং দ্বাদশের গণ্ডি পেরোনো পড়ুয়ারা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইট, “যারা সিবিএসই-র দশম এবং দ্বাদশের ফলে খুশি নও, তাদের বলতে চাই, তুমি কে, তা কোনও একটি পরীক্ষা ঠিক করে দেয় না। তোমাদের প্রত্যেকের প্রচুর প্রতিভা আছে। জীবনে চুটিয়ে বাঁচো। কখনও আশা ছেড়ো না আর সামনে তাকাও। তোমরাই (সকলকে) চমকে দেবে।”
গত বছরের চেয়ে পাশের হার সামান্য (০.৩৬ শতাংশ বিন্দু) বেড়েছে। তা হয়েছে মূলত মেয়েদের হাত ধরে। কারণ, ছেলেদের পাশের হার গত বারের মতোই। পাশের হারে রাজ্যেও এগিয়ে মেয়েরা (৯৬.২৮%)। ছেলেরা ৯৪.৫০%। রাজ্যে সার্বিক পাশের হার ৯৫.২৪%। তবে গত বারের তুলনায় ৯০ এবং ৯৫ শতাংশ নম্বরের গণ্ডি টপকানো পড়ুয়ার অনুপাত কমেছে বেশ কিছুটা (বিস্তারিত সারণিতে)। বেড়েছে কম্পার্টমেন্টালের হারও।
দ্বাদশের মতো দশমেও পাশের হারে সব থেকে এগিয়ে ত্রিবান্দ্রম অঞ্চল (৯৯.২৮%)। তার পরেই চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরু। দক্ষিণের এই রমরমার বাজারে অনেক পিছিয়ে পড়েছে দিল্লি (পূর্ব ও পশ্চিম)। তাদের পিছনে শুধু গুয়াহাটি (৭৯.১২%)।
দ্বাদশের মতো এ বারও ফলের প্রথম ঘোষণা মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীর টুইটে। শুরুতে রেজাল্টের ওয়েবসাইটের হোঁচট খাওয়ার খবর মিলছিল কিছু জায়গা থেকে। কিন্তু তা-ও প্রথম আধ ঘণ্টা মতোই। বাকিটা মোটামুটি মসৃণ।
সদ্য দ্বাদশের ফল হাতে-পাওয়া পড়ুয়ারা চাইলে কী ভাবে কোনও বিষয়ের নম্বর মেলাতে, খাতা দেখতে বা ফের খাতা পরীক্ষা করাতে পারবে, সেই নির্দেশিকাও আজ জারি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy