Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
SEBI

সেবিকে পর্যালোচনা বৈঠকে ডাকল সংসদীয় পিএসি, মাধবী-বিতর্কের আবহেই পর্যালোচনা

২৪ অক্টোবর সেবির সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক ডাকল সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি। সেবি প্রধান মাধবী বুচ কিংবা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে বৈঠকে থাকার জন্য বলা হয়েছে।

শেয়ার বাজার নিয়ামক সংস্থা ‘সেবি’-র প্রধান মাধবী বুচ।

শেয়ার বাজার নিয়ামক সংস্থা ‘সেবি’-র প্রধান মাধবী বুচ। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:২৭
Share: Save:

সেবির শীর্ষ স্তরে কী ভাবে কাজকর্ম পরিচালিত হয়, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)। আগামী ২৪ অক্টোবর এই নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে বসতে চলেছে পিএসি। দেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি-প্রধান মাধবী পুরী বুচের বিরুদ্ধে সম্প্রতি একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই আবহেই সেবিকে পর্যালোচনা বৈঠকে ডেকে পাঠাল সংসদীয় কমিটি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ে উল্লেখ, সেবি কর্তা মাধবী বা তার কোনও প্রতিনিধিকে পর্যালোচনা বৈঠকে থাকার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি টেলিকম নিয়ামক সংস্থা (ট্রাই)-এর প্রধান অনিল কুমার লাহোতি বা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকেও ওই একই দিনে পর্যালোচনা বৈঠকে ডাকা হয়েছে।

আমেরিকার তথ্যানুসন্ধান সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের একটি রিপোর্টে, সেবি কর্তা মাধবী ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র পর্ষদে সদস্য ও চেয়ারপার্সন হওয়ার পরেও নিজের উপদেষ্টা সংস্থা আগোরা অ্যাডভাইজ়রিতে মাধবী অংশীদারি বহাল রেখেছিলেন। রিপোর্টে দাবি, ওই ভারতীয় উপদেষ্টা সংস্থাটি বিভিন্ন দেশীয় শিল্পকে পরামর্শ দিয়ে আয় করে। অংশীদার হিসেবে সেই আয়ের শরিক হয়েছিলেন মাধবী এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচ। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে দাবি করা হয়, যে বিদেশি ও অখ্যাত লগ্নিকারী সংস্থার মাধ্যমে আদানি গোষ্ঠীর নথিভুক্ত সংস্থাগুলিতে পুঁজি ঢেলে তাদের শেয়ারের দাম কৃত্রিম ভাবে বাড়ানো হয়েছিল, তাতে বুচ দম্পতির লগ্নি ছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সেবির পরিচালন পর্ষদের সদস্য হয়েছিলেন মাধবী। ২০২২ থেকে সেবির চেয়ারপার্সন পদে রয়েছেন তিনি। সেবির পরিচালন পর্ষদের সদস্য হওয়ার আগে মাধবী একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে সেবি প্রধানকে বিঁধেছে কংগ্রেসও। সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকেই দেশের প্রধান বিরোধী দলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, সেবির পরিচালন পর্ষদের পূর্ণ সময়ের সদস্য হওয়ার পরেও নিয়মিত ভাবে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে বেতন নিয়ে গিয়েছেন। কংগ্রেস নেতা পবন খেড়ার অভিযোগ, সরকারি নিয়ামক সংস্থার পদে থেকে মাধবীর এই কাজ বেআইনি। এর ফলে স্বার্থের সংঘাত অনিবার্য বলে দাবি কংগ্রেস শিবিরের।

এই আবহেও এ বার সেবির শীর্ষ স্তরে কী ভাবে কাজকর্ম পরিচালিত হচ্ছে, তা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসতে চলেছে সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি। প্রসঙ্গত, সংসদীয় এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে বর্তমানে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেনুগোপাল।

অন্য বিষয়গুলি:

Sebi PAC Hindenburg Research
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy