শীতকালীন অধিবেশনের আগে সংসদে পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে সমস্ত সাংসদের কাছে খোলামেলা এবং উচ্চমানের বিতর্ক-আলোচনার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। চলবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অধিবেশন শুরুর দিনই সমস্ত সাংসদদের প্রতি ‘সব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা’র আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এ দিন সংসদ চত্বরে সাংবাদিকদের বলেন, “সমস্ত বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা চাইছি। এই অধিবেশনে খুব উন্নত চিন্তার বিতর্ক হোক, প্রত্যেকেই সেই আলোচনায় অংশ নিন।” এই অধিবেশনের গুরুত্ব বোঝাতে তিনি বলেন, “২০১৯-এর এটাই শেষ অধিবেশন। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এটা রাজ্যসভার ২৫০-তম অধিবেশন।” মোদী এ দিন আরও বলেন, “আগের অধিবেশনে যে অভূতপূর্ব সাফল্য পাওয়া গিয়েছে, তা শুধুমাত্র ট্রেজারি বেঞ্চের কারণেই নয়, বরং সমস্ত দলের সাংসদরাই তাতে ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছিলেন। সে কারণেই অধিবেশন সফল হয়েছিল।” এ বারও সাংসদদের থেকে একই রকম ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন তিনি, বলে জানিয়েছেন মোদী।
গত বাদল অধিবেশনের আগেই লোকসভা ভোটে বিপুল ভাবে জিতেছিল বিজেপি। একক দল হিসাবে ৩০০-রও বেশি আসন পেয়েছিল। সংখ্যাধিক্যের জেরে কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করিয়ে নিয়েছিল সহজেই। তিন তালাক, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের জন্য ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার এবং জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়ে সংশোধনী বিল।
আরও পড়ুন: আচমকা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নুসরত জাহান, একসঙ্গে অনেক ঘুমের ওষুধ খেয়েই বিপত্তি?
সদ্য সমাপ্ত মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের পর এটাই সংসদের প্রথম অধিবেশন। হরিয়ানার জোট সরকার গঠন করলেও গোল বাধে মহারাষ্ট্র নিয়ে। শিবসেনার সঙ্গে মতবিরোধের কারণে সরকার গঠনের পথ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। তার উপরে অর্থনৈতিক মন্দা, জম্মু-কাশ্মীরে রাজনৈতিক নেতাদের আটকে রাখা, বেকারত্ব, কৃষি-সহ নানা বিষয় নিয়ে বিজেপির ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে বিরোধীরা। এমন একটা সময়ে সংসদের অধিবেশন বিরোধীদের তুমুল বিরোধিতায় তোলপাড় হওয়ায় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: এ বার নাম পরিবর্তন আগরার? তোড়জোড় শুরু করল যোগী সরকার
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, সংসদ যে উত্তাল হবে তা আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছেন মোদী। কোনও বিল পাশ করাতে গেলে বিরোধীরা কোণঠাসা করার চেষ্টা করবে মোদী সরকারকে। সে কারণেই তিনি আগেকার অধিবেশনের প্রসঙ্গ টেনে বিল পাশ করানো নিয়ে সাংসদদের ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy