ছবি: সংগৃহীত।
এক বছরের মধ্যে সন্তানের জন্ম দাও। না হলে আমাদের পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই দাবি নিয়ে ছেলে-বৌমার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকলেন মা-বাবা। উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের ওই দম্পতির দাবি, পড়াশোনার জন্য ছেলেকে আমেরিকায় পাঠাতে গিয়ে তাঁদের যাবতীয় সঞ্চয় শেষ। হাতে টাকাকড়ি নেই। তাই ছেলে-বৌমার কাছ থেকে হয় নাতি-নাতনি অথবা আ়ড়াই কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজেদের আর্থিক দুরবস্থার কথা জানিয়েছেন ওই মামলাকারী এস আর প্রসাদ। বুধবার সংবাদ সংস্থার কাছে তিনি বলেন, ‘‘আমার ছেলের পিছনে সব টাকাপয়সা খরচ হয়ে গিয়েছে। তাকে আমেরিকায় ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠিয়েছিলাম। তার খরচাপাতি করেছি। এখন হাতে আর কানাকড়িও নেই। এমনকি, বাড়ি তৈরির জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে হয়েছে। ব্যক্তিগত এবং আর্থিক ভাবেই খুবই বেহাল দশায় রয়েছি আমরা। সে জন্যই ছেলে-বৌমা, দু’জনের থেকে আড়াই কোটি করে চেয়েছি।’’
হরিদ্বারের ওই দম্পতির হয়ে আদালতে মামলা লড়বেন আইনজীবী এ কে শ্রীবাস্তব। তাঁর দাবি, ‘‘এই মামলার মাধ্যমে সমাজের বাস্তব ছবিটা ফুটে উঠেছে।’’ শ্রীবাস্তবের মতে, সন্তানদের জন্য নিজেদের যাবতীয় জমা পুঁজি খরচ করে ফেলেন মা-বাবারা। সুতরাং সন্তানদেরও উচিত মা-বাবার আর্থিক দায়ভার বহন করা!
I gave my son all my money, got him trained in America. I don't have any money now. We have taken a loan from bank to build home. We're troubled financially& personally. We have demanded Rs 2.5 cr each from both my son & daughter-in-law in our petition: SR Prasad, Father pic.twitter.com/MeKMlBSFk1
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) May 11, 2022
আর্থিক সুরাহার পাশাপাশি মানসিক ভাবেও ছেলে-বৌমার কাছ থেকে ওই দম্পতি শান্তি পাননি বলে দাবি শ্রীবাস্তবের। তিনি জানিয়েছেন, নাতি-নাতনির মুখ দেখার আশায় ২০১৬ সালে ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মক্কেল। তবে বিয়ের পর বছর ছয়েক গড়িয়ে গেলেও নিঃসন্তান রয়েছেন মক্কেল-পুত্র। মামলকারীর দাবি, ছেলে বা মেয়ে যা-ই হোক না কেন, তা যেন আগামী এক বছরের মধ্যে হয়। নয়তো তাঁদের হাতে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ তুলে দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy