বৈবাহিক ধর্ষণ মামলায় দুই বিচারপতির মত ভিন্ন। প্রতীকী চিত্র।
বৈবাহিক ধর্ষণ মামলার রায়ে বিভক্ত দিল্লি হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি রাজীব শকধেরের পর্যবেক্ষণ, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার ধর্ষণ সংক্রান্ত ব্যতিক্রমী ২ ‘অসাংবিধানিক’। এতে বলা হয়েছে, বিয়ের পরে কোনও পুরুষ যদি স্ত্রীর সঙ্গে বলপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, তা ধর্ষণ নয়। যদি না স্ত্রীর বয়স ১৫ বছরের কম হয়। যদিও বিচারপতি হরি শঙ্কর জানান, তিনি বিচারপতি শকধেরের সঙ্গে একমত নন।
গত ৭ জানুয়ারি থেকে দুই বিচারপতির বেঞ্চ বৈবাহিক ধর্ষণ মামলার দৈনিক শুনানি করছে দিল্লি হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ২১ ফেব্রুয়ারি এই বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রাখে। দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আলাদা ভাবে পিটিশন দাখিল করে এই মামলায়। তাদের দাবি, বৈবাহিক ধর্ষণও অপরাধ। তাই এ সংক্রান্ত আইনের সংশোধন আশু প্রয়োজন। বুধবার ছিল মামলার রায়দানের দিন। কিন্তু দুই বিচারপতি একমত না হওয়ায় নির্দিষ্ট কোনও রায় হয়নি। তাই এই মামলাও সুপ্রিম কোর্টে উঠতে পারে।
দিল্লি হাই কোর্টে দায়ের করা মামলায় বাদীপক্ষের দাবি, বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ব্যতিক্রমী আইন বিবাহিত মহিলার অবমাননা। তাঁর সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী। তাঁরা এ প্রশ্নও তোলেন, কাউকে চড় মারা বা খুন করা অপরাধ, কিন্তু ধর্ষণ নয়?
অন্য দিকে, বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত কর্নাটক হাই কোর্টের একটি রায়ের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী জুলাই মাসে তার শুনানি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy