প্রেমের টানেই ইকরা পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতে এসেছিলেন। ছবি: প্রতীকী
ভালবাসা সীম মানে না, সীমান্ত মানে না। মুলায়ম আর ইকরাও তা-ই ভেবেছিলেন। প্রেমের টানেই ইকরা পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতে এসেছিলেন। নতুন নাম নিয়েছিলেন। ভুয়ো পরিচয়পত্রও তৈরি করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। শেষ পর্যন্ত আটক হলেন ইকরা জিভানি। চরবৃত্তি করতে পাকিস্তান থেকে এসেছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইকরা পাকিস্তানের বাসিন্দা। একটি অ্যাপের মাধ্যমে মুলায়ম সিংহ যাদবের সঙ্গে পরিচয় হয়। ২৫ বছরের মুলায়ম উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। পরিচয়ের পরেই দু’জন দু’জনের প্রেমে পড়েন। স্থির করেন, বিয়ে করবেন। গত সেপ্টেম্বরে দু’জন নেপালে গিয়ে বিয়ে করেন। এর পর ভারতে চলে আসেন। বেঙ্গালুরুর সারজাপুরা রোডে আবারও বিয়ে করেন তাঁরা। মুলায়ম নিরাপত্তারক্ষীর কাজ নেন। ইকরার জন্য আধার কার্ডেরও ব্যবস্থা করেন। ভুয়ো নথি দেখিয়ে আধার কার্ড পান তরুণী। সেখানে ইকরার নাম হয় রাভা যাদব।
পরে স্ত্রীর জন্য পাসপোর্টের আবেদন করেন মুলায়ম। তা-ও পেয়ে যান। আবারও চোখ এড়িয়ে যায় বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকদের। গোল বাধে এর পরে। পাকিস্তানে নিজের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন ইকরা। তাতেই সন্দেহ হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তারা খবর দেয় কর্নাটকের গোয়েন্দা বিভাগে। নজর রাখা হয় ইকরার উপর। এর পর ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে। তাঁদের জেরা করে সব জানতে পারে। গোয়েন্দা আধিকারিকরা ইকরাকে ফরেইনারস রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসেস (এফআরআরও)-এর হাতে তুলে দেন। এফআরআরও তাঁকে একটি হোমে পাঠায়। মুলায়মকেও জেরা করছে তারা। ইকরা চরবৃত্তিতে নিযুক্ত কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁরা বেঙ্গালুরুর যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, তাঁর মালিককেও জেরা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy