নেতাজিকন্যা অনিতা বসু পাফ জানালেন, তাঁর বাবার চিতাভস্ম তাইওয়ান থেকে এ দেশে আনা হোক। — ফাইল ছবি।
স্বাধীন ভারতে পা রাখা হয়নি নেতাজির। কিন্তু অন্তত তাঁর চিতাভস্ম তাইওয়ান থেকে এ দেশে আনা হোক। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬তম জন্মদিনে এই ইচ্ছাই প্রকাশ করলেন তাঁর মেয়ে অনিতা বসু পাফ। আর এই বিষয়ে তিনি দেশবাসীর সাহায্য চাইলেন। পাশাপাশি তিনি নথিকেই মান্যতা দিয়ে জানালেন, ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে নেতাজির।
এএনআইকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নেতাজিকন্যা অনিতা বলেন, ‘‘আমি সকল ভারতবাসীকে অনুরোধ করছি, নেতাজির চিতাভস্ম ফিরিয়ে আনতে আমাকে সাহায্য করুন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, স্বাধীন ভারত দেখার জন্য তিনি জীবিত ছিলেন না। তাঁর চিতাভস্ম তাঁর মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে আনা গেলে তা অন্তত ভাল বিকল্প হতে পারে।’’ আর এতে তিনি সকল ভারতবাসীকে অংশগ্রহণ করার আবেদন করেছেন। অনিতার কথায়, ‘‘আমি ভারতের সব পুরুষ এবং মহিলার সমর্থন চাইছি। এই বিষয়ে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ করছি।’’
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এএনআইকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন অনিতা। তখনও একই কথা বলেছিলেন তিনি। নেতাজিকন্যা বলেছিলেন, ‘‘নেতাজি স্বাধীন ভারতে পা রাখতে পারেননি। আমি আশা করি, অন্তত তাঁর চিতাভস্ম তাঁর মাতৃভূমিতে ফেরানো হোক। সেখানে ঠাঁই হোক তাঁর। নথি থেকে প্রমাণিত, ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট বর্তমানের তাইওয়ানে এক বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আশা করব, তাঁর চিতাভস্ম নিয়ে আসা হবে।’’
সোমবার এএনআইকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় নেতাজিকন্যা অনিতা জানিয়েছেন যে, নেতাজির স্বপ্ন ছিল দেশের সকল মহিলা-পুরুষ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার নিয়ে বাঁচবে ভারতে। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, নেতাজির নামে দ্বীপের নামকরণ করায় তিনি সম্মানিত। অনিতা নিজেও খুশি। তবে সর্বোপরি নাগরিকদের একে অন্যের পাশে থাকাটা জরুরি। প্রসঙ্গত, সোমবার, নেতাজির জন্মজয়ন্তীতেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ২১টি দ্বীপের নামকরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পরমবীর চক্র প্রাপকদের নামে ওই দ্বীপের নামকরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি নেতাজিকে উৎসর্গ করে জাতীয় স্মৃতিসৌধের মডেলের উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দ্বীপে তৈরি হবে ওই স্মৃতিসৌধ। ২০১৮ সালে রস আইল্যান্ডের নাম বদলে নেতাজির নামে সেটির নামকরণ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy