আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে একদিকে যখন আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলিকে জোটবদ্ধ করে বৈঠক করছে নয়াদিল্লি, তখন পাকিস্তানও হাত গুটিয়ে বসে নেই। বরং আরও বেশি আন্তর্জাতিক শক্তি সংগ্রহ করে তারা কাবুলের ময়দানে নামতে চলেছে। আফগানিস্তান বিষয়ক পাকিস্তানের বিশেষ দূত মহম্মদ সাদেক খান বৃহস্পতিবার কাবুল পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন ইসলামাবাদে। তাতে উপস্থিত থাকবেন আফগানিস্তান সংক্রান্ত ‘ট্রইকা’ অর্থাৎ পাকিস্তান, চিন, রাশিয়ার ত্রিদেশীয় জোট এবং আমেরিকার প্রতিনিধিরা। শুধু তাই নয়, আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিকেও। ভারতে বুধবার আফগানিস্তান সংক্রান্ত আট দেশের বৈঠকে আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালিবানের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। আসেনি পাকিস্তানও।
ইসলামাবাদ পৌঁছনোর আগে আমেরিকার কাবুল সংক্রান্ত বিশেষ দূত টমাস ওয়েস্ট টুইট করে বলেছেন, “আমি ইউরোপ এবং এশিয়া সফর শুরু করলাম। আফগানিস্তান নিয়ে আমাদের অংশীদার দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা করব। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত একসঙ্গে কাজ করা, যাতে ফল পাওয়া যায়।”
কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, আঞ্চলিক দেশগুলি ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তানকেও যে কাবুল প্রশ্নে একই রকম গুরুত্ব দিয়ে চলছে সেটা স্পষ্ট। তালিবান নেতৃত্বের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনার জন্য পাকিস্তান ছাড়া যে গতি নেই, এই তত্ত্ব আবারও সামনে চলে আসছে। কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভারতের ভাল লাগুক বা না লাগুক, পাকিস্তানের ভৌগোলিক অবস্থান বদলানো যাবে না। আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য এবং সংযোগের জন্য পাকিস্তান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। এই কারণে আফগানিস্তানের বাণিজ্য করতে শুধু চিন নয়, আমেরিকা এবং উজ়বেকিস্তান মধ্যবর্তী চুক্তি করে থাকে ইসলামাবাদের সঙ্গেই।