বাবা সিদ্দিকি। —ফাইল ছবি।
তিনটি নয়, এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনের ঘটনায় ব্যবহার হয়েছিল চারটি বন্দুক! হত্যা তদন্তে উঠে এসেছে এমন তথ্য। শুক্রবার মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে সিদ্দিকিকে খুন করতে চারটি বন্দুক ব্যবহার হয়। শুধু তা-ই নয়, এনসিপি নেতা-হত্যায় পাক যোগেরও সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা।
গত ১২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বান্দ্রায় নিজের ছেলে জ়িশানের দফতরের সামনে গুলি করে খুন করা হয় সিদ্দিকিকে। সূত্রের খবর, এনসিপি নেতাকে খুন করতে যে বন্দুকগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল তা পাকিস্তান থেকে আনা হয়ে থাকতে পারে। সেই বন্দুকগুলো ড্রোনের মাধ্যমে ভারতে এসেছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সিদ্দিকিকে খুন করতে তিন জন শুটার ভাড়া করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে গুরমেল সিংহ এবং ধর্মরাজ কাশ্যপকে পুলিশ আগেই গ্রেফতার করে। অন্য এক শুটার শিবকুমার গৌতম এখনও অধরা। তদন্তে জানা গিয়েছে, পুণের দুগ্ধ ব্যবসায়ী প্রবীণ লোনকারের ভাই শুভমই সিদ্দিকি খুনের পরিকল্পনা কষেছিলেন। তাঁর সঙ্গে জেলবন্দি লরেন্স বিশ্নোইয়ের দুষ্কৃতী দলের সঙ্গে যোগ রয়েছে। এ ছাড়াও এই মামলায় ধৃত আরও কয়েক জনের সঙ্গেও এই দলের যোগের সূত্র পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা হরিশকুমার নিশাদই গুরমেলদের জন্য বাইকের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। পুণেতে প্রবীণের দোকানের পাশেই তাঁর লোহালক্কর বিক্রির দোকান ছিল। বাইক কেনার জন্য হরিশ টাকা পেয়েছিলেন প্রবীণের থেকেই। এ ছাড়াও ভগৎ সিংহ ওরফে ওম নামে এক ব্যক্তিকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে এই খুনের ঘটনায়। রাজস্থানের উদয়পুরের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে তিনি থাকতেন মুম্বইয়ে। শুটারদের বন্দুক সরবরাহ করেছিলেন ওম। সেই বন্দুক তিনি কোথা থেকে পেয়েছিলেন, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীরা বন্দুকের ছবি পাঠিয়েছেন রাজস্থান পুলিশের কাছে। অনুমান, পাক সীমান্ত পেরিয়ে রাজস্থান হয়েই বন্দুকগুলি এসেছিল মুম্বইয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy