পাকিস্তান থেকে আসা সীমা হায়দার এবং নয়ডার বাসিন্দা শচীন সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসা সেই বধূর জামিন মঞ্জুর হল অবশেষে। মুক্তি পেয়ে তিনি প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করেছেন শনিবারই। ভারতকেই এখন নিজের দেশ বলে মনে করছেন পাকিস্তানের সীমা হায়দার। নয়ডার বাসিন্দা শচীন সিংহের সঙ্গে নতুন করে ঘর বাঁধতে চান। চলছে তারই প্রস্তুতি।
জেল থেকে বেরিয়ে উচ্ছ্বসিত সীমা জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে ভারতীয় বলেই মনে করছেন। শচীনকে তিনি স্বামী হিসাবে স্বীকার করে নিয়েছেন। স্বামী হিন্দু, তাই তিনিও হিন্দু। ধর্ম বদলাতে কোনও আপত্তি নেই সীমার।
চার সন্তানকে নিয়ে পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে ভারতে ঢুকেছিলেন সীমা। গত ৪ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সীমাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য শচীন এবং তাঁর বাবাকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সন্তানদের নিয়ে কয়েক দিন জেলে ছিলেন সীমা। শনিবার জামিন পাওয়ার পর তিনি বলেন, ‘‘জামিনের খবর শুনে আমি আনন্দে চিৎকার করে উঠেছিলাম। কারণ, আমি ভেবেছিলাম অনেক মাস আমাকে জেলে কাটাতে হবে। দীর্ঘ লড়াই করে আমি এখানে পৌঁছেছি। করাচি হয়ে প্রথমে দুবাই গিয়েছিলাম। সেখান থেকে নেপাল যাই। তার পর ভারতে আসি।’’
সীমার স্বামী গুলাম হায়দার সৌদি আরবে কর্মরত। তিনি সম্প্রতি একটি ভিডিয়োবার্তার মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তাঁর অনুরোধ, তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানদের পাকিস্তানে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। গুলাম দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
১২ লক্ষ টাকার জমি বিক্রি করে ভারতে আসার টাকা জোগাড় করেছেন সীমা। শচীনের সঙ্গে অনলাইনে পাবজি খেলতে গিয়ে তাঁর আলাপ। সেই আলাপ ক্রমে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে পরিণত হয়। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর এ বার খাতায়কলমে ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ এবং শচীনের সঙ্গে পাকাপাকি ঘর বাঁধার তোড়জোড় শুরু করেছেন এই পাক তরুণী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy