ছবি: সংগৃহীত।
পুলিশ-প্রশাসন বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে ঔপনিবেশিক আমলের দণ্ডবিধি (আইপিসি), ফৌজদারি বিধির (সিআরপিসি) অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক ছিল। প্রশিক্ষণে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সে সব শেখানো হত। কিন্তু দেশে নতুন আইনবিধি (ন্যায়সংহিতা) কার্যকর হতে চলেছে ১ জুলাই থেকে। তাই নরেন্দ্র মোদী সরকার নতুন করে ‘আইনের পাঠ পড়াল’ পুলিশ আধিকারিক, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ মায় সরকারি আইনজীবীদেরও!
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির পাঁচ লক্ষ ৬৫ হাজার পুলিশ আধিকারিক, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এবং সরকারি আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ১৮৬০ সালে তৈরি ভারতীয় দণ্ডবিধির (ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা আইপিসি) জায়গায় ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ চালু হবে। ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি বিধির (ক্রিমিনাল প্রসিডিয়োর কোড বা সিআরপিসি) বদলে আসছে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইন বদলে চালু হবে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’।
পুরনো আইন বা বিধির বেশ কিছু ধারা বাতিল হচ্ছে। কিছু সংশোধনও হয়েছে। ফলে নতুন আইনে কাজ করতে যাতে সমস্যা না হয় এবং পুলিশকর্মী, আইনজীবীরা ‘সংহিতার’ সঙ্গে দ্রুত সড়গড় হতে পারেন, তার চেষ্টাই হচ্ছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষকে নেটমাধ্যমে নয়া তিন আইনের প্রাথমিক পাঠও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রকের তরফে।
সরকারি সূত্রের খবর, নতুন সাক্ষ্য আইন মেনে অপরাধের প্রমাণ জোগাড়ে ভিডিয়ো রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই ভিডিয়ো প্রমাণ বাজেয়াপ্ত করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতে জমাও দিতে বলা হয়েছে। এই কাজটি সুষ্ঠু ভাবে করতে হবে সেই বিষয়টি পুলিশকর্মীদের নিখুঁত ভাবে বোঝানো হয়েছে। আবার নতুন আইনে এ-ও বলা হয়েছে যে কেউ অনলাইনে অভিযোগ করলে তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে এফাইআর-এ সই না করলে সেটি গ্রাহ্য করা হবে না। কী ভাবে সেই কাজ করতে হবে, তা শেখানো হয়েছে পুলিশ এবং আইনজীবীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy