ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে আসছেন হিমন্তবিশ্ব শর্মা। আগের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল মন্তব্যের দিক থেকে রাজনৈতিক ভাবে সঠিক থাকতেন। কিন্তু হিমন্ত মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে যে রাস্তায় হাঁটছেন, তার নিন্দায় সরব বিরোধীরা।
অসম জাতীয় পরিষদের মতে, হিমন্ত বারবার বলছেন ‘আগের কার্যকালে’ ব্যাপক গরুচুরি ও দুর্নীতি হয়েছে। তিনি সব বন্ধ করবেন। অর্থাৎ প্রকারান্তরে তিনি সর্বানন্দের আমলেই অবাধ দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করছেন। কংগ্রেসের দাবি, তেমন হলে সোনোয়ালের আমলে হওয়া গরু পাচার ও অন্য দুর্নীতির সিবিআই তদন্ত করা হোক।
গত ৪০ দিনে ৩০টি এনকাউন্টার হয়েছে অসমে। গত ২৪ ঘণ্টায় চার জনকে গুলি করেছে অসম পুলিশ। হিমন্ত পুলিশের সভায় ঘোষণা করেছেন, অপরাধীদের পায়ে গুলি করাই দস্তুর হওয়া প্রয়োজন। এজেপির সাধারণ সম্পাদক জগদীশ ভুঁঞা বলেন, ‘‘হিমন্ত নিজে স্বৈরাচারী আচরণ করছেন, পুলিশকেও স্বৈরাচারী হতে প্ররোচিত করছেন। অপরাধমুক্ত সমাজ গড়তে অপরাধীকে গ্রেফতার করা, চার্জশিট দেওয়া, দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করার আইনানুগ পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু অপরাধীকে গুলি করে অপরাধ শেষ করা সভ্য সমাজের সংস্কৃতি হতে পারে না।’’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্পষ্ট বলেছে, আত্মরক্ষার প্রয়োজনে ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে এমন অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে গেলে পুলিশ গুলি চালাতে পারে। কিন্তু তার যথার্থতাও অনুসন্ধানসাপেক্ষ। অন্যথায় পুলিশ গুলি করে কাউকে মারলে বা জখম করলে হত্যা বা হত্যার চেষ্টার মামলা রুজু করে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। কিন্তু অসমে সে সবের বালাই নেই। গত এক মাসে বারবার ধৃত অপরাধী পুলিশের হাত ছাড়িয়ে পালাচ্ছে কী করে সেই প্রশ্নও তোলে এজেপি। তাদের সন্দেহ এরপর অপরাধ নিয়ন্ত্রণের নামে প্রমাণ লোপাট করতেও পুলিশ গুলি করে অপরাধী মারবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy