একই মঞ্চে নীতীশ কুমার, সীতারাম ইয়েচুরি, শরদ পওয়ার প্রমুখ বিরোধী নেতা। ছবি টুইটার।
উপলক্ষ ছিল দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল (আইএনএলডি)-এর প্রতিষ্ঠাতা দেবীলালের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন। সেই উপলক্ষকে সামনে রেখেই বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের লক্ষ্যে আরও এক পদক্ষেপ করলেন বিরোধী দলের নেতারা। রবিবার হরিয়ানার ফতেহবাদে আইএলএলডি-র ডাকে একই মঞ্চে দেখা গেল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিংহ বাদল, এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারকে।
বক্তৃতা করতে উঠে লালুপুত্র তেজস্বী যাদব বিজেপির কড়া সমালোচনা করে জানান, শিবসেনা, অকালি দল-সহ একাধিক দল এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও বিরোধীরা একজোট রয়েছে। বিজেপির আদ্যক্ষরের সঙ্গে মিলিয়ে তাদের ‘বড় মিথ্যাবাদীর দল’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। জেডি (ইউ) নেতা কেসি ত্যাগী দাবি করেন, নীতীশ কুমার পটনা থেকেই দিল্লিতে বিজেপির ‘সুলতানি’র অবসান ঘটাবেন।
বিরোধীদের এই ‘বৃহৎ’ সমাবেশে অবশ্য কংগ্রেসের কাউকে দেখা যায়নি। হরিয়ানার রাজ্য রাজনীতিতে আইএনএলডি এবং কংগ্রেস সর্বদাই যুযুধান দুই দল। জনতা দলের অন্যতম উত্তরসূরি এই দলের সঙ্গে কংগ্রেসের রাজনৈতিক বিরোধিতার কথা সুবিদিত। যদিও আইএনএলডি নেতা ওমপ্রকাশ চৌটালা কিছু দিন আগেই জানিয়েছেন, বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। এমনিতেও অভ্যন্তরীণ নানা দ্বন্দ্বে জীর্ণ আইএনএলডি। ওমপ্রকাশের বড় ছেলে দল থেকে বেরিয়ে নতুন দল জননায়ক জনতা পার্টি তৈরি করেছেন। বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সেই দল হরিয়ানার শাসনক্ষমতায় রয়েছে। অপর দিকে হরিয়ানায় ওমপ্রকাশের দলের বর্তমান বিধায়ক সংখ্যা মোটে এক!
তবে, নীতীশ কুমার, কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মতো রাজনীতিকদের যখন বিরোধী জোট গঠনের সলতে পাকানোর কাজে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে, তখন বিরোধীদের এক মঞ্চে ওঠা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এই সভার পরেই দিল্লিতে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার কথা নীতীশ কুমারের। নীতীশ-সনিয়া সাক্ষাতের সময় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত থাকতে পারেন লালুপ্রসাদ যাদবও। ওমপ্রকাশ চৌতালাকেও বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে তৎপর হতে দেখা যাচ্ছে। সহমতের ভিত্তিতে বিরোধী দলগুলির সম্মিলিত কর্মসূচি নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই শরদ পওয়ার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক বিরোধী নেতাকে চিঠি দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy