এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে মমতা।—ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের তিন আইপিএস অফিসারের বদলি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে একের পর এক বিরোধী নেতা স্বর তুলছেন। আগেই এ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। আজ সকালে আইপিএস নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে টুইট করেছেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল। এর পর দুপুরে টুইট করলেন ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন।
তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে ভোটের আগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তৃণমূলের উপর যত চাপ বাড়াবে, দেশের বিরোধী শক্তি ততই সঙ্ঘবদ্ধ হবে। বিভিন্ন অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা কেন্দ্রের ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। আগামী দিনে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে এবং এনসিপি সভাপতি শরদ পওয়ারও বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হবেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনের কথায়, “যে ভাবে ওই তিন আইপিএস অফিসারকে বদলি করা হল তা থেকে স্পষ্ট, কোনও প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই পদক্ষেপ করেছে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের সরকার।”
ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন আজ টুইট করে বলেছেন, “দেশের সিভিল সার্ভিস, দিল্লির শাসক দলের মর্জিতে এবং তাদের অঙ্গুলিহেলনে চলতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে এই বদলির নির্দেশ অবিলম্বে ফিরিয়ে নিতে আর্জি জানাচ্ছি।”
ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বঘেলও আইপিএস বদলি নিয়ে টুইট করেছেন এ দিন। তিনি লিখছেন, “যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা আরও এক বার সঙ্কটের মুখে। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার রাজ্যের প্রশাসন এবং বদলির অধিকার নিয়ে রাজ্যের এক্তিয়ারকে খর্ব করছে। আর সেটাও করছে ভোটের আগে। কেন্দ্রের এই নাক গলানোর বিষয়টি অত্যন্ত আপত্তিজনক এবং নিন্দনীয়।”
মমতার সমর্থনে এর আগে সরব হয়েছিলেন বিগত বাজপেয়ী জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিন্হা। শুভেন্দু অধিকারী-সহ তৃণমূলের নেতাদের বিজেপি যে ভাবে ভাঙিয়ে আনছে, তা নিয়ে তিনি টুইট করে বলেছিলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে সার্জিকাল স্ট্রাইকে নেমেছে বিজেপি। নির্বাচনের পরেও এক দফার জন্য প্রস্তুত থাকুন। সে কারণে তৃণমূলের বিপুল ভোটে জিতে আসাই এখন সময়ের দাবি। আর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবালের বক্তব্য ছিল, ‘‘ভোটের আগে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ অফিসারদের বদলির নির্দেশ দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আঘাত। রাজ্যে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা। পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের উপরে এই নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ নিন্দনীয়।”
গত ১০ ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার কনভয়ে হামলা হয়। হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজ্য সরকারের কাছে এ নিয়ে সবিস্তারে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কেন্দ্র। এর পরই নড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন আইপিএস অফিসার রাজীব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠী এবং ভোলানাথ পাণ্ডেকে ডেপুটেশনে চেয়ে পাঠায় কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy