Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
PM CARES

পিএম-কেয়ারস নিয়ে সংসদ সরগরম

পিএম-কেয়ারস তহবিলের স্বচ্ছতা নিয়ে লোকসভায় বিরোধীরা প্রশ্ন তুলল।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৫৮
Share: Save:

সংসদে ফিরে এল সংসদের ‘মেজাজ’!

পিএম-কেয়ারস তহবিলের স্বচ্ছতা নিয়ে লোকসভায় বিরোধীরা প্রশ্ন তুলল। কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর পাল্টা অভিযোগ করলেন, জওহরলাল নেহরুর জমানায় গাঁধী পরিবারের জন্যই প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল তৈরি হয়েছিল। কংগ্রেস দাবি তুলল, এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী বললেন, “হিমাচলের এই ছোকরা কোথা থেকে এসে বাজারটাই খারাপ করে দিল!”

বিজেপি-কংগ্রেস তরজার মধ্যেই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির বাংলার সাংসদদের বাগ্‌যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিকার ওম বিড়লাকে টেবিল চাপড়ে জানিয়ে দিলেন, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিজেপি সাংসদদের স্পিকার আগলাবেন, কিন্তু তৃণমূল সাংসদদের বলতে দেওয়া হবে না— এটা মেনে নেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন: চাষিদের থেকে সরকার আর ধান-গম কিনবে না, এটা মনগড়া কাহিনি: মোদী​

উত্তপ্ত লোকসভা আজ তিন বার মুলতুবি হয়েছে। তাঁর দিকে আঙুল ওঠায় আহত স্পিকার সভায় আসতে চাননি। পরে তিনি এলে রাজনাথ সিংহ এবং অধীর তাঁর প্রতি আস্থা জানান। অনুরাগও দুঃখপ্রকাশ করেন। কোভিড-স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সংসদে আজকের মতো বাদানুবাদ এত দিন হয়নি। অধিবেশনও মুলতুবি হয়নি। আজ তাই সাংসদেরা বলছেন, লোকসভায় চেনা মেজাজ ফিরে এল।

আরও পড়ুন: দুই নরেনকে মিশিয়ে মাত্রা ছাড়াল স্তুতি

কর ও অন্যান্য আইনে সংশোধন করতে জারি হওয়া অধ্যাদেশের বিল পাশের সময়ে লোকসভায় এই কুরুক্ষেত্রের সূচনা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বিলটি পেশ করেন। বিরোধীরা পিএম-কেয়ারস তহবিলের চাঁদায় কর ছাড় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই ট্রাস্টকে কেন তথ্যের অধিকার আইনের বাইরে রাখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থাকলেও কেন পৃথক তহবিল তৈরির প্রয়োজন হল, মহামারির কারণ দেখিয়ে সরকার রাজ্যের জিএসটি ক্ষতিপূরণের দায় এড়াচ্ছে কি না, সে সব প্রশ্নও ওঠে।

নির্মলা বাকি সব প্রশ্নের উত্তর দিলেও পিএম-কেয়ারস নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে অনুরাগকে এগিয়ে দেন। অনুরাগ বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট সবাই পিএম-কেয়ারসে সিলমোহর দিয়েছে। আপনারা এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে নজর দিন। ১৯৪৮-এ নেহরু ‘শাহি নির্দেশ’ জারি করে তহবিল তৈরি করেছিলেন। শুধু একটা পরিবার, গাঁধী পরিবারের জন্য এই তহবিল হয়েছিল। নেহরু, সনিয়া গাঁধী এর সদস্য ছিলেন। এখানে সব হিসেব-নিকেশ হবে।”

রাজ্যসভায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী কংগ্রেসকে একই ভাবে নিশানা করেছিলেন। লোকসভায় তেড়ে যান কংগ্রেসের নেতারা। স্লোগান ওঠে, ‘‘অনুরাগ ঠাকুর মাফি মাগো’’, ‘‘গোলি মারো মন্ত্রী ইস্তফা দো’’। মাস্ক না-পরে কথা বললে সাসপেন্ডের হুঁশিয়ারি দেন স্পিকার। কল্যাণ বলেন, স্পিকার চাইলে তাঁকে সাসপেন্ড করতে পারেন। কিন্তু বিজেপি নেতাদের সুরক্ষা দেওয়া হবে, এটা চলতে পারে না। অধীর স্পিকারকে বলেন, “আমরা কি বলেছি, নরেন্দ্র মোদী পিএম-কেয়ারসের টাকা চুরি করছেন?” পরিস্থিতি সামলাতে শেষে অনুরাগ বলেন, তিনি কাউকে আঘাত করতে চাননি। কেউ দুঃখ পেয়ে থাকলে তিনিও দুঃখিত। স্পিকারও বলেন, তাঁর ত্রুটি হয়ে থাকলে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।

অন্য বিষয়গুলি:

PM CARES Lok Sabha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy