বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র চতুর্থ বৈঠকে বিরোধী নেতানেত্রীরা। ছবি: পিটিআই।
বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লির অশোকা হোটেলে পৌঁছলেন বিরোধী নেতানেত্রীরা। ইতিমধ্যেই বৈঠকস্থলে পৌঁছেছেন তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএমকে নেতা তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, এসপি নেতা অখিলেশ সিংহ যাদব। পৌঁছেছেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার, আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবও।
বিরোধী জোট সূত্রে জানা গিয়েছিল, মঙ্গলবার বিকেল ৩টে থেকে বৈঠক শুরু হবে। যদিও পরে জানা যায়, বিকেল ৪টে থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বৈঠক শুরু হবে। ‘ইন্ডিয়া’র প্রথম বৈঠক হয়েছিল পটনায়। তার পর বৈঠক হয় বেঙ্গালুরু এবং মুম্বইয়ে। চতুর্থ বারের জন্য বৈঠকের আসর বসল দিল্লিতে। বিরোধী জোট সূত্রেই জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের আগে এই বৈঠকেই বিরোধী দলগুলির মধ্যে আসন রফার বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে। তিন রাজ্যের ভোটে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয় এবং ব্যর্থতা নিয়ে শরিক দলগুলি জোটের নেতৃত্বে হাত শিবিরকে মানবে না কি, নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরবে, তা-ও এই বৈঠক থেকেই অনেকটা স্পষ্ট হবে।
তবে তৃণমূলের মতো দলগুলি অনেক দিন ধরেই দাবি করে আসছে যে, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, সেই দলের নেতৃত্বে জোট হোক। তবে কেরল, পঞ্জাব কিংবা পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে, যে খানে শরিক দলগুলি রাজ্যস্তরে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সেখানে জোট নির্বিঘ্নে হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
আবার বছর ১৩ পর লোকসভা ভোটে কি বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে তৃণমূল? সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই প্রশ্ন করতেই তিনি জানিয়ে দেন, তাঁর দরজা খোলা। তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। সেই সঙ্গে কৌশলে কংগ্রেসকে মমতা এ-ও স্মরণ করিয়ে দেন যে, বাংলায় তাদের মাত্র দু’টি আসন জেতা রয়েছে। জোট হলে ২০১১ সালের পর ফের বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়বে তৃণমূল। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়েছিল তৃণমূল। তবে ২০১১ সালের পরে আর দু’দলের জোট হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy