জ্বরে ভুগতে থাকা এক মাসের শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে গরম লোহার শিকের ছ্যাঁকা দিলেন পরিবারের সদস্যেরা! ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার নবরঙ্গপুর জেলায়। পরে ওই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক ভাবে ওড়িশার স্বাস্থ্য দফতরের অনুমান, কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে শিশুকে সুস্থ করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন পরিবারের লোকেরা।
উমেরকোট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিশুর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। সোমবার তাকে দেখতে হাসপাতালে যান নবরঙ্গপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক সন্তোষকুমার পান্ডা। তিনি জানান, শিশুর পেটে এবং মাথায় ৩০-৪০টি ছ্যাঁকার চিহ্ন রয়েছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আরও জানান, অনেকের মধ্যে কুসংস্কার রয়েছে যে শিশুদের গরম ধাতুর ছ্যাঁকা দিলে রোগ নিরাময় হয়ে যায়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই শিশু গত দিন দশেক ধরে জ্বরে ভুগছিল। কান্নাকাটি করছিল। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সন্দেহ, পরিবারের লোকেরা ভেবেছিলেন শিশুর মধ্যে কোনও ‘ভূত’ ভর করেছে। জ্বরে ভুগতে থাকা শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার বদলে গরম ধাতুর ছ্যাঁকা দেন পরিবারের সদস্যেরা।
আরও পড়ুন:
পরিবারের সদস্যেরা ভেবেছিলেন, এতেই সুস্থ হয়ে যাবে ওই শিশু। কিন্তু গরম লোহার ছ্যাঁকায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায়। শেষে ওই শিশুকে উমেরকোট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, বহু দিন ধরেই প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে এই কুসংস্কার চলে আসছে। এই ঘটনার পরে সাধারণ মানুষের মন থেকে এই কুসংস্কার দূর করতে আরও বেশি সচেতনতামূলক প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বিশেষ করে যে অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।