চলছে করোনা পরীক্ষা। ফাইল ছবি।
ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণ যে ভাবে লাফিয়ে বাড়ছে তা নিয়েও যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। এর মধ্যে যদি বর্ষবরণ উৎসবে রাশ টানা না যায় তা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্ত সবথেকে বেশি দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে ১৯৮ জন নতুন করে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি দৈনিক করোনা সংক্রমণও লাফিয়ে বেড়ে হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৬৮। যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্ত নেমেছিল ৫০০-র আশপাশে।
মহারাষ্ট্রের মধ্যে মুম্বইয়ের পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। রাজ্যে ১৯৮ জন নতুন ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যে ১৯০ জনই মুম্বইয়ের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বাণিজ্যনগরীতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৬৭১ জন। যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় ৪৬ শতাংশ বেশি। পরিস্থিতি কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে তা নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার বিকালে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে কোভিড টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। মুম্বইয়ে ৭ জানুয়ারি অবধি জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বর্ষবরণের উৎসবও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের মতোই দ্রুত পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে দেশের রাজধানীতে। সাত মাস পর দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্ত এক হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৩১৩ জন। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়েও দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০-এর নীচে। বড়দিনের আগে তা ১০০ ছাড়িয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ভাবে লাফ দিয়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া বুঝিয়ে দিচ্ছে তৃতীয় ঢেউয়ে পরিস্থিতির কতটা অবনতি হতে পারে।
দিল্লি এবং মুম্বইয়ের পাশাপাশি দেশের অন্য বড় শহরগুলিতেও গত এক সপ্তাহে দৈনিক আক্রান্ত অনেকটা বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতা, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই। গুজরাতের আমদাবাদ, রাজকোট এবং সুরতেও গত এক সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy