কেঁচো খুঁড়তে আগেই সাপ বেরিয়ে পড়েছিল। এ বার তার খুনের তালিকায় তার প্রেমিকা নার্স-সহ আরও ২ জনের নাম রয়েছে বলে জেরায় জানাল মহারাষ্ট্রের সাতারা থেকে ছ’টি খুনের অভিযোগে ধৃত চিকিৎসক সন্তোষ পল।
মঙ্গলা জেঢে নামে এক মহিলা সমাজকর্মীর অন্তর্ধান রহস্যের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শুধু মঙ্গলাই নয়, খামারবাড়িতে আটকে রেখে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে আরও চার মহিলা ও এক পুরুষকে খুন করেছে সন্তোষ। একই দিনে ওই বাড়ির পাশে আরও ২টি খোলা কবর চোখে পড়েছিল পুলিশের। বুধবার তা নিয়ে জেরা করতেই সন্তোষ জানায়, তার পরের নিশানা ছিল তারই নার্স, সহকারী ও প্রেমিকা জ্যোতি মান্দ্রে (২৫)। পুলিশ জানায়, সমাজকর্মীর নিখোঁজ তদন্তে জ্যোতিই পুলিশকে সন্তোষের কথা বলেন। স্বীকার করেন, অপরাধে ভাগিদার তিনিও। পুলিশ জানায়, ছ’টি খুনের পর সন্তোষের ভয় হয় জ্যোতি তার অপরাধের কথা ফাঁস করে দিতে পারে। আর তখন থেকেই সে জ্যোতিকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া শুরু করে। তাকেও ইঞ্জেকশন দিয়ে সব যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করার কথা বলে সন্তোষ।
জ্যোতি জেরায় পুলিশকে জানান, সন্তোষের দুই সন্তান রয়েছে। তবে পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক নেই তার। প্রতিবেশীদের সঙ্গেও সে যোগাযোগ রাখত না। টাকা নিয়ে নানা জায়গায় ধারদেনাও রয়েছে তার। সেই সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, এমনই এক ব্যক্তির নামে খোঁড়া হয়েছিল শেষ কবরটি। সময় সুযোগ বুঝে তাঁকেও রাস্তা থেকে সরানোর ছক কষেছিল সন্তোষ। ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর বয়ান নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১৩ বছর ধরে বিভিন্ন সময় ছ’জনকে খুন করেছে সন্তোষ। কিন্তু কাকপক্ষীও তা টের পায়নি। তাই সামান্য একটা অন্তর্ধান রহস্য যে এই মোড় নিতে পারে, তা পুরোপুরি ধারণার বাইরে ছিল তদন্তকারীদের। স্বীকারোক্তির বাইরে ‘ডক্টর ডেথ’ আর কী অপরাধ গোপন করছে, তা জানতে সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy