অঞ্জু-নাসরুল্লা। পাকিস্তানের পাহাড়ি এলাকায়। ছবি: সংগৃহীত।
স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার জন্য তিন বছর আগে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তাই দুই সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকা শুরু করেন। পাকিস্তানে পৌঁছে এমনই দাবি করেছিলেন ভারতীয় বধূ অঞ্জু। এ বার তাঁর সেই দাবিকে পুরোপুরি মিথ্যা বলে পাল্টা দাবি করলেন তাঁর স্বামী অরবিন্দ।
এক সংবাদমাধ্যমে অরবিন্দ বলেন, “অঞ্জু বলেছে ও তিন বছর আগে দিল্লিতে ডিভোর্সের নথি জমা করেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ডিভোর্সের কোনও নোটিস পাইনি আমি। আইনি ভাবে অঞ্জু এখনও আমার স্ত্রী। ডিভোর্স না করে ও কাউকে বিয়ে করতে পারে না। ওর বিরুদ্ধে তদন্ত করা উচিত সরকারের।”
এর পরই অরবিন্দ হুঁশিয়ারি দেন, পাকিস্তান থেকে ফিরে এলেই অঞ্জুর বিরুদ্ধে এফআইআর করবেন। শুধু তাই-ই নয়, ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, অঞ্জু ফিরলেই তাঁর ভিসা এবং পাসপোর্ট খতিয়ে দেখা হোক। আর তা থেকেই বোঝা যাবে, ওই ভিসা এবং পাসপোর্ট আসল না ভুয়ো! অরবিন্দের কথায়, “ভারতে ফিরতেই অঞ্জুর ভিসা এবং পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা উচিত সরকারের।”
অরবিন্দ জানিয়েছেন, তাঁর কন্যারা অঞ্জুকে মা বলে আর স্বীকার করতে চায় না। তবে তারা যদি অঞ্জুকে স্বীকার করে নেয়, তা হলে তিনি আবার অঞ্জুর সঙ্গে সংসার করার কথা ভাববেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, অঞ্জুর সঙ্গে তাঁর দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়েছে। চাকরি নিয়ে মানসিক চাপের মধ্যে থাকতেন অঞ্জু। কিন্তু তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ ছিল বলে অঞ্জু যে দাবি করেছেন, সেই দাবিকে নস্যাৎ করেছেন অরবিন্দ।
গত ২১ জুলাই রাজস্থানের অলওয়ার থেকে পাকিস্তানে যান অঞ্জু। সেখানে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ফেসবুক বন্ধু নাসরুল্লার সঙ্গে দেখা করেন। স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ধর্ম পরিবর্তন করেন নাসরুল্লাকে বিয়ে করেছেন অঞ্জু। তাঁর নাম হয়েছে ফতিমা। নাসরুল্লা নিজেও স্বীকার করেছেন যে অঞ্জুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, একটি হোটেলে বোরখা পরে নাসরুল্লার পরিবারের সঙ্গে খেতেও দেখা গিয়েছে অঞ্জুকে। এমনই একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy