ঠান্ডায় কাঁপছে উত্তর ভারত। ছবি: পিটিআই।
এখনই কনকনানি ঠান্ডার হাত থেকে রেহাই পাবে না উত্তর ভারত। এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন। সঙ্গে কুয়াশার দাপটও থাকবে কয়েকটা দিন। রবিবারও দিল্লি এবং উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে শীতের কামড় টের পাওয়া গিয়েছে। দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। রাজধানীর কোথাও কোথাও তাপমাত্রা আবার ৩ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে।
দিল্লির পাশাপাশি পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানে গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা নামছে। কোথাও কোথাও আবার শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়েছে বলে মৌসম ভবন জানিয়েছে। ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কুয়াশার দাপটও। দৃশ্যমানতা নেমে যাওয়ায় ট্রেন পরিষেবাও ব্যাহত হচ্ছে। জাতীয় সড়ক এবং এক্সপ্রেসওয়েগুলিতেও যান চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কোথাও কোথাও কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। উত্তর ভারতগামী বহু ট্রেন বাতিল, কোনও কোনও ট্রেন দেরিতেও চলছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, পঞ্জাবের ভাতিন্ডায় ভোর সাড়ে ৫টায় দৃশ্যমানতা ছিল ৫০ মিটার। চণ্ডীগড় এবং রাজস্থানের চুরুতেও দৃশ্যমানতা নেমে এসেছিল ৫০ মিটারে। দিল্লির সফদরজঙে দৃশ্যমানতা আবার ৫০০ মিটারে নেমে গিয়েছিল। তবে গোটা উত্তর ভারত ঠান্ডায় কাঁপলেও, হিমাচল প্রদেশের সিমলা কিন্তু পর্যটকদের নিরাশ করছে। তুষারপাতের টানে পর্যটকরা সেখানে ছুটে গেলেও, মৌসম ভবন কিন্তু জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত এখনও তুষারপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে চম্বা, কুলু, লাহুল-স্পিটি, কিন্নৌরে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং দিল্লিতে শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি বজায় থাকবে।
কাশ্মীরের একাংশে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কয়েক ডিগ্রি নীচে নেমে গিয়েছে। শ্রীনগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৫ ডিগ্রি নীচে ছিল বৃহস্পতিবার। যা এই মরসুমের সবচেয়ে শীতলতম। পহেলগাঁওয়ে তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। আগামী সপ্তাহে কাশ্মীরে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy