ডাকাতি থেকে খুন— সব কিছু করেছে চার বালক। —প্রতীকী চিত্র।
বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে ডাকাতি এবং পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁদের খুন— পুরো নকশা তৈরি করেছে ১২ বছরের এক বালক। এই অপরাধে তার সঙ্গীরাও সবাই কমবয়সি। শনিবার একটি খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে হতভম্ব উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। শনিবার আজমল (নাম পরিবর্তিত) নামে ওই বালককে আটক করেছে তারা।
ঘটনাটি গত ২০ নভেম্বরের। গাজিয়াবাদে একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এক বৃদ্ধ দম্পতির দেহ। বাড়ির আসবাবপত্র ছিল ছড়ানো-ছিটানো। ৬০ বছর বয়সি ইব্রাহিম ছিলেন ব্যবসায়ী। তাঁকে দেখা যায় বাড়ির ভিতরে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। তাঁর স্ত্রী হাজরার দেহ মেলে শৌচাগারে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রায় এক মাস পর অভিযুক্তদের খুঁজে বের করল পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে এই ডাকাতি এবং খুনের নেপথ্যে রয়েছে দম্পতির খুব পরিচিত এক বালক। তার সহযোগীরাও সবাই তারই বয়সি।
পুলিশ জানায়, ১২ বছরের ওই বালক জানত ইব্রাহিমের অনেক টাকা। সেই টাকার লোভে তাঁর বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করে সে। সঙ্গে নেয় তিন বন্ধুকে। প্রথমে তাদের পরিকল্পনার মধ্যে ‘খুন’ ছিল না। ছিল ডাকাতি করে যা মিলবে, তা সমান ভাগে ভাগ করে নেবে নিজেরা। কিন্তু ডাকাতি করার পর পরিকল্পনায় বদল আনে ১২ বছরের অভিযুক্ত। প্রমাণ লোপাট করতে তারই নির্দেশে আরও তিন বালক মিলে বৃদ্ধ দম্পতিকে খুন করে। বৃদ্ধকে গলায় কাপড়ের প্যাঁচ দিয়ে মারা হয়।
ধৃত তিন বালকের কাছ থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাওয়া গিয়েছে সোনার গয়না এবং মোবাইল ফোন। আরও এক বালককে খুঁজছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy