বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। -ফাইল ছবি।
ভোটে জিতলে বিহারে ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন এনডিএ-র শরিক সংযুক্ত জনতা দল নেতা নীতীশ কুমারই। মুখ্যমন্ত্রিত্বের জন্য চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি)-র সঙ্গে হাত মেলাবে না বিজেপি। উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন।
এ মাসের শেষাশেষি বিহারে বিধানসভা ভোট। অক্টোবরের ২৮, নভেম্বরের ৩ এবং ৭ তারিখে তিন দফায় ভোট হবে বিহারে। ফল ঘোষণা হবে ১০ নভেম্বর। জল্পনা, ভোটে জিতলে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার হতে পারেন উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা সুশীল মোদী। তার জন্য নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-এর প্রতিদ্বন্দ্বী এলজেপি-র সঙ্গে হাত মেলাতে পারে বিজেপি।
এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সুশীল বলেন, ‘‘কয়েকটি কায়েমি স্বার্থের সংবাদমাধ্যম এই সব প্রচার করছে। এলজেপি যদি জেডিইউ-এর বিরুদ্ধে লড়ে আর তার জন্য যদি জেডিইউ-এর কিছুটা ক্ষতি হয়, তাতে বিজেপি-র কী আসে যায়! এতে বিজেপি-র কোনও স্বার্থ থাকতে পারে না। বিহারে দু’তিনটির বেশি আসনে কি জেতার ক্ষমতা আছে এলজেপি-র?’’
সুশীল এও বলেন, ‘‘বিহারে এলজেপি যে এনডিএ-তে নেই তা প্রতিটি নেতাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। প্রত্যেকটি জনসভায় আমি নিজেও মানুষকে বলছি, এলজেপি প্রার্থীদের ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না। ওঁরা শুধুই ভোট কাটবেন। তার বেশি কিছু হবে না। এই সবই এনডিএ-র ভোট কাটার কৌশল। যার পিছনে কোনও বড় মাথা রয়েছে।’’
সেই ‘মাথা’ কি জেডিইউ-এর এক সময়ের নেতা প্রশান্ত কিশোর? সুশীল সে ব্যাপারে খোলাখুলি কিছু না বলেননি। শুধু বলেছেন, ‘‘আমি কারও নাম করব না। এইটুকুই বলব, জেডিইউ যদি কম আসন পায় তা হলে বিহারে সরকারটা স্থায়ী হবে কী ভাবে?’’
আরও পড়ুন: নমনীয়তার ইঙ্গিত দিয়েও মিছিলে গরহাজির শুভ্রাংশু, রয়ে গেল জল্পনা
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩ হাজার ৭৭১, দৈনিক সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের
সুশীল অবশ্য এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিজেপি যদি এ বার আগের চেয়ে বেশি আসনে জেতে, তা হলেও মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে থাকবেন নীতীশ কুমারই। সুশীলের কথায়, ‘‘সংখ্যাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিজেপি অথবা জেডিইউ যত আসনেই জিতুক না কেন মুখ্যমন্ত্রী হবেন নীতীশ কুমারই। ২০০০ সালের ভোটের কথা মনে করুন। সে বার বিজেপি-র ৬৪ জন বিধায়ক ছিলেন। জেডিইউ-এর বিধায়ক ছিলেন ৩৬ কি ৩৭ জন। সে বারও নীতীশই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy