ফাইল চিত্র।
করোনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বুধবারের ভিডিয়ো-বৈঠকে যোগ দিল না রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গকে বলার সুযোগ না-দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ওই বৈঠকে থাকবেন না, তা আগেই জানানো হয়েছিল। এর আগেও একটি বৈঠকে বলার সুযোগ না-থাকায় গরহাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এ দিন রাজ্যের কোনও অফিসারকেও বৈঠকে পাঠানো হয়নি।
দিল্লিতে যখন প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক চলছে, প্রায় তখনই মুখ্যসচিব-সহ প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে চিকিৎসক সংগঠনগুলির সঙ্গে কোভিড-পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন মমতা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওরা বড় বড় ব্যাপারে মিটিং করছে। আমরা ছোট ছোট গ্রাসরুটের মিটিং করছি, যা মানুষের কাজে লাগে। কোভিডে আরও ভাল করে কী ভাবে কাজ হতে পারে, তা নিয়ে বৈঠক করছি। একটা জায়গায় অন্য বৈঠক চলছে বলে আমি তো সময়টা নষ্ট করলাম না। একই উদ্দেশ্যে কাজ করলাম। এটা বেশি বড় কাজ। ওখানে কয়েক জন মিলে বৈঠক করবেন। তাঁরা প্রত্যেকেই রাজ্যের ধারক-বাহক। এখানে আমরা কোভিড যোদ্ধাদের সঙ্গে বৈঠক করলাম।’’
নবান্ন সূত্রের অভিযোগ, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখনও জটিল। তার দায় অনেকটাই কেন্দ্রীয় সরকারের। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে রাজ্যের অনেক কিছু বলার ছিল। কিন্তু বলার সুযোগ না-থাকা সত্ত্বেও বৈঠকে স্রেফ হাজিরা দিলে আখেরে রাজ্যেরই সম্মানহানি হত। তাই মুখ্যমন্ত্রী বা প্রশাসনের কোনও শীর্ষকর্তা তাতে যোগ দেননি।
কিন্তু এর আগেও তো প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বলার সুযোগ পায়নি রাজ্য। তবু সেই বৈঠকে রাজ্যের তরফে মুখ্যসচিব ছিলেন। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহলের দাবি, বুধবারের বৈঠকের তাৎপর্য ছিল ভিন্ন। লকডাউনের মেয়াদ শেষে রাজ্যগুলি কী ভাবে পদক্ষেপ করবে, বাড়তে থাকা কোভিড-সংক্রমণকে কী ভাবে ঠেকানো যায় ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিটি রাজ্যের মতামত-পরামর্শ জানা উচিত ছিল কেন্দ্রের। পশ্চিমবঙ্গকে সেই সুযোগ না-দেওয়াটা কেন্দ্রের ইতিবাচক মনোভাবের পরিচয় বহন করে না।
এ দিন মমতা বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ সম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে চলে। এমন তো হতে পারে, বাংলা এক দিন সবাইকে ডাকবে! বাংলাকে এত দুর্বল ভাবেন কেন বলুন তো! একটা বৈঠকে আমরা গেলাম বা না-গেলাম, তাতে কি রাজ্যের ভবিষ্যৎ ঠিক হয়ে যাবে? হয় তো তাঁরা প্রয়োজন মনে করেননি বলেই ডাকেননি। তা নিয়ে ঝগড়া করার কারণ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy