বিধায়ক বা সাংসদের মতো জনপ্রতিনিধির বিবৃতির দায় সরকারের উপর চাপানো যায় না। সংবিধানে বর্ণিত বাক্স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের অধিকার আইন জনপ্রতিনিধি-সহ সকল ব্যক্তির জন্যই প্রযোজ্য। ফলে শুধুমাত্র জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্যের উপর অতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করার প্রয়োজন নেই। বাক্স্বাধীনতা নিয়ে একগুচ্ছ মামলায় মঙ্গলবার এই পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের।
আরও পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস আব্দুল নজীর, বিচারপতি এএস বোপান্না, বিচারপতি বিআর গবই, বিচারপতি ভি রামসুব্রক্ষণ্যম, বিচারপতি বিভি নাগরত্নের বেঞ্চের মত, সংবিধানের ১৯(২) ধারার অনুযায়ী দেশের অন্য নাগরিকদের মতোই বাক্স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের অধিকার ভোগ করেন জনপ্রতিনিধিরা। ফলে ওই ধারায় উল্লিখিত নিয়ম ছাড়া জনপ্রতিনিধিদের উপর আলাদা করে বিধিনিষেধ আরোপ করার যাবে না। বিচারপতি ভি রামসুব্রক্ষণ্যমের মন্তব্য, ‘‘যে কোনও ব্যক্তির থেকে তা বাধাপ্রাপ্ত হলেও নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে রাষ্ট্র বাধ্য।’’ অন্য দিকে, বিচারপতি নাগরত্নের মত, ‘‘হেবিয়াস কর্পাস ছাড়া সকল ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংবিধানের ১৯(১)(এ) এবং ২১ ধারা প্রযোজ্য।’’