—ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ ও বিজেপি-বিরোধী দলের শাসিত অন্য রাজ্যগুলি এখনও জিএসটি লোকসান মেটাতে ধার নিতে অনড়। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এ বার নিজেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী-শাসিত বাকি রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখলেন।
জিএসটি ক্ষতিপূরণ কে মেটাবে, লোকসান মেটাতে কে ধার করবে, তা নিয়ে টানাপোড়েনের পরে ১৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কেন্দ্রের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, কেন্দ্র জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটাবে না ঠিকই। তবে রাজ্যকে রাজস্ব আয় কমে যাওয়ায় অভাব পূরণ করতে সরাসরি ধার করতে হবে না। কেন্দ্রই রাজ্যগুলির হয়ে বাজার থেকে ধার করবে। রাজ্যের আয়-ব্যয়ের খাতাতেই ঋণ দেখানো হবে। তবে সুদ-আসল কেন্দ্র বা রাজ্য কাউকেই শোধ করতে হবে না। ২০২২-এর পরেও জিএসটি অতিরিক্ত সেস বসিয়ে টাকা তুলে ধার শোধ হবে।
১৬টি রাজ্য এই প্রস্তাব মেনে নেওয়ায় গত সপ্তাহেই কেন্দ্র ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজ্যগুলির হাতে তুলে দিয়েছিল। আজ আরও ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজ্যগুলির হাতে তুলে দিয়েছে কেন্দ্র। লকডাউনের ধাক্কায় রাজ্যগুলির চলতি অর্থ বছরে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ১.১ লক্ষ কোটি টাকা আয় কম হবে বলে অনুমান। ধাপে ধাপে এই ১.১ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোট মঙ্গলবার, ৯৪ আসনে লড়াই
আরও পড়ুন: অরুণাচল সীমান্ত পর্যন্ত রেল প্রকল্প ঘোষণা চিনের, নজর রাখছে দিল্লি
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ-কেরল ও কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলি এখনও কেন্দ্রের এই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। উল্টে কেরলের অর্থমন্ত্রী টমাস আইজ্যাক যুক্তি দিচ্ছেন, ২০২২-এর পরেও বিলাসবহুল ও ক্ষতিকারক পণ্যে জিএসটি অতিরিক্ত সেস আদায়ের বিষয়ে সব রাজ্য একমত হয়েছে ঠিকই। কিন্তু কোনও আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি। তার আগেই কেন্দ্র রাজ্যের ঘাড়ে ঋণের বোঝা চাপিয়ে বলছে, ওই ঋণ জিএসটি সেস থেকে শোধ হবে।
অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রী সীতারামন নিজে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, পঞ্জাব, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখে এই ঋণের প্রকল্পে যোগ দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। কারণ, কেন্দ্র সব রাজ্যের জন্যই ঋণ নিচ্ছে। খুবই কম সুদে ঋণ মিলছে। কেন্দ্র ঋণ নিয়ে রাজ্যকে ঋণ দেবে। ফলে কেন্দ্র বা রাজ্য, কারও রাজকোষ ঘাটতি বাড়বে না। রাজ্যগুলির মূলধনী আয়ে এই ঋণ দেখানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy