স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করলেন বিএসপির সর্বময় নেত্রী তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর ভাইঝি অ্যালিস। অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে পণ চাওয়া হচ্ছে। এমনকি, ভাসুরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কস্থাপনের জন্য তাঁকে চাপও দিচ্ছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অ্যালিস জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী সন্তান উৎপাদনে অক্ষম। সেই কারণে ভাসুরের সঙ্গে সম্পর্কস্থাপন করে বংশরক্ষা করতে বলা হচ্ছে তাঁকে। এমনকি, তাঁর স্বামীও এই কাজের জন্য তাঁকে জোর করছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
মায়াবতীরা ১০ ভাইবোন। তাঁর ছ’জন সহোদর ভাই রয়েছেন। তাঁরা হলেন সিদ্ধার্থ, সুভাষ, নরেশ, টিটু, রাজকুমার এবং আনন্দ কুমার (যিনি বিএসপির জাতীয় সহ-সভাপতি)। নরেশের কন্যা অ্যালিস। ২০২৩ সালের নভেম্বরে হাপুরের ব্যাঙ্ক কলোনি এলাকার বাসিন্দা বিশাল সিংহের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নগদ এবং গাজ়িয়াবাদে একটি ফ্ল্যাট পণ বাবদ চাওয়া হচ্ছিল। বার বার স্থানীয় থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ জানালেও পুলিশ পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ।
স্বামী, শাশুড়ি, শ্বশুর, ভাসুর-সহ মোট ন’জনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছেন অ্যালিস। পুলিশ তাঁদের মধ্যে সাত জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। অ্যালিসের শাশুড়ি পুষ্পা দেবীও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এক সময়ে বিএসপির টিকিটে ভোটেও লড়েছেন।
অ্যালিসের অভিযোগ, তাঁর পিসির নাম করে পণের টাকা চাইতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা। তাঁরা বলতেন, পিসির টাকার কোনও অভাব নেই। তাই ৫০ লক্ষ টাকা এবং গাজ়িয়াবাদে ফ্ল্যাটের বন্দোবস্ত করে দেওয়া তাঁর পক্ষে কঠিন হবে না। অভিযোগপত্রে অ্যালিস এ-ও জানিয়েছেন, বিয়ের আগে স্টেরয়েডের ইঞ্জেকশন নিতেন তাঁর স্বামী। যখন জানা গেল তিনি সন্তান উৎপাদনে অক্ষম, তখন থেকে তাঁরা আলাদা থাকেন।
অ্যালিস জানিয়েছেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ পদক্ষেপ করেনি। এর পর তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশের পরে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। এসপি জ্ঞানঞ্জয় সিংহ জানিয়েছেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।