ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।
পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে কিছু গোপন ওটিপি শেয়ার করেছিলেন! সমাজমাধ্যমে হয়েছিল সেই যোগাযোগ। ওই গোপন ওটিপি শেয়ার করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল ওড়িশা স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ভুবনেশ্বরে এসে যুবককে জেরা করতে চলেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এবং মুম্বই অ্যান্টি টেরর স্কোয়াড (এটিএস)।
গত ২৯ জুন পুনে থেকে গ্রেফতার হন অভিজিৎ সঞ্জয় জাম্বুরে। তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে ভুবনেশ্বরে নিয়ে আসে এসটিএফ। গুজরাতের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংখ্যাতত্ত্বে স্নাতক পাশ করেন অভিজিৎ। পুনের একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করেন। গোয়েন্দারা তাঁর থেকে আরও তথ্য আদায়ের জন্য জেরা করছেন। পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের কী কী তথ্য পাঠিয়েছেন তিনি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্তে নেমে এসটিএফ জানতে পেরেছে, ২০১৮ সালে পাকিস্তানের ফয়জলাবাদের সৈয়দ দানিশ আলি নাকভি ওরফে দানিশের সঙ্গে পরিচয় হয় অভিজিতের। ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে। দানিশ নিজেকে এক আমেরিকান সংস্থার ফ্রিল্যান্সার কর্মী বলে দাবি করেছিলেন। এর পর অভিজিৎকে করাচির আবদুল হামিদ ওরফে খুররমের সঙ্গে পরিচয় করায় দানিশ। এই খুররম আসলে পাক সেনাবাহিনীর গুপ্তচর বলে মনে করছে এসটিএফ। তাদের ধারণা, ভারতে আরও অনেক এজেন্ট নিয়োগ করেছিলেন খুররম, যাঁরা তাঁকে খবর চালান করতেন। খুররমের নির্দেশে ভারতে বেশ কয়েক জনকে অনলাইনে টাকা পাঠাতেন অভিজিৎ বলে দাবি এসটিএফের। ওই ব্যক্তিরা পাকিস্তান গুপ্তচর সংস্থার হয়ে কাজ করতেন বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সাত জন পাকিস্তানি নাগরিক এবং ১০ জন নাইজিরীয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন অভিজিৎ। কী কথা বলেছিলেন, তা এখন খতিয়ে দেখবে এসটিএফ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy