এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্ত সমাজকর্মী গৌতম নওলখা। ফাইল চিত্র।
জেলের কুঠুরিতে খুব মশা। মশারি খাটানোর আবেদন করেছিলেন এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্ত সমাজকর্মী গৌতম নওলখা। পত্রপাঠ তাঁর সেই আবেদন খারিজ করল মুম্বইয়ের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ আদালত।
সম্প্রতি নওলখার আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব হচ্ছে শহরে। এমতাবস্থায় তাঁর মক্কেলকে রাতে ঘুমনোর সময় মশারি খাটানোর অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু এই আবেদনের বিরোধিতা করেন তালোজা জেল কর্তৃপক্ষ। আদালতে তাঁদের যুক্তি, মশারির জালের জন্য নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হতে পারে। কারণ, মশারির জন্য দড়ি এবং দেওয়ালে পেরেক পুঁততে হবে। তাতে নিজের অথবা বা অন্য আসামিদের ক্ষতি করতে পারেন আবেদনকারীরা।
দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারক জানান, কারাগার এলাকায় অবাঞ্ছিত গাছপালা রাখা চলবে না। এলাকা আগাছামুক্ত রাখতে হবে। মশার উপদ্রব ঠেকাতে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। বর্ষাকালে মশার উপদ্রবের দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। এর পর নওলখা এবং আর এক অভিযুক্ত সাগর গোর্খে মশারি টাঙানোর আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। উল্লেখ্য, এলগার পরিষদ মামলায় মানবাধিকার কর্মী স্ট্যান স্বামী, শিক্ষাবিদ তথা নাগরিক আইন কর্মী আনন্দ তেলতুম্বড়ে, সমাজকর্মী গৌতম নওলাখা, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হানি বাবু, সমাজকর্মী সাগর গোর্খে, সংস্কৃতিকর্মী রমেশ গাইচোর এবং সমাজকর্মী জ্যোতি জগতপকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, বিভিন্ন গোষ্ঠী ও ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে শত্রুতায় উস্কানি জুগিয়েছিলেন তাঁরা। হিংসা ও পরস্পরের প্রতি ঘৃণায় মদত জুগিয়েছিলেন। সরকারের মানুষকে তাতিয়ে তোলার পরিকল্পনায় শামিল ছিলেন। এমনকি, মাওবাদী যোগের অভিযোগ ওঠে।
এর আগে কারাগারে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রয়াত স্ট্যান স্বামী। সে সময় পার্কিনসন্সে আক্রান্ত অশীতিপর স্বামী জল খাওয়ার জন্য স্ট্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তাঁর সেই আবেদনও খারিজ হয়। পরে স্ট্র এবং সিপার-এর জন্য আইনি লড়াই লড়তে হয় তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy