অন্ধ্রপ্রদেশের একটি মন্দিরে রাহুল গাঁধী। নিজস্ব চিত্র।
মল্লিকার্জুন খড়্গে সভাপতি হলেও রাহুল গান্ধী তথা গান্ধী পরিবারের হাতেই কংগ্রেসের লাগাম থাকবে বলে বিজেপির অভিযোগ। সেই অভিযোগ খারিজ করে এবং তিনি যে মল্লিকার্জুনের নেতৃত্বেই কাজ করবেন সেই বার্তা দিতে রাহুল গান্ধী ২৬ অক্টোবর দিল্লি আসছেন। ওই দিন মল্লিকার্জুনের হাতে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে জয়ের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হবে। তিনি সে দিন থেকেই দায়িত্ব নেবেন। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাহুল ভারত জোড়ো যাত্রার ফাঁকে দিল্লিতে হাজির হবেন।
৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরুর পরে এই প্রথম রাহুল যাত্রা ছেড়ে দিল্লি আসছেন। কংগ্রেস অবশ্য জানিয়েছে, ২৪ ও ২৫ অক্টোবর দীপাবলি ও ২৬ অক্টোবর খড়্গের দায়িত্বভার গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য এই তিন দিন ভারত জোড়ো যাত্রায় বিরতি থাকবে।
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে মল্লিকার্জুন খড়্গের জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে বিজেপি তো বটেই, বিএসপি নেত্রী মায়াবতীও নিশানা করতে শুরু করেছেন। বিজেপি নেতা রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের অভিযোগ, খড়্গে ‘রাবার স্ট্যাম্প’ সভাপতি হয়ে থেকে যাবেন। পাল্টা জবাবে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত বলেছেন, ‘‘এঁরা কিছুই জানেন না। রাবার স্ট্যাম্প কী? সনিয়া গান্ধী নিজে খড়্গের বাড়িতে গিয়েছিলেন।’’ একই বার্তা দিতে রাহুলও দিল্লি আসছেন বলে কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন।
কংগ্রেস নেতারা একমত যে, একের পর এক হারে বিপর্যস্ত কর্মীদের আস্থা ফেরানো, নির্বাচনে জয়ের সংগঠন তৈরি করা, সংগঠন ঢেলে সাজানো, নবীন-প্রবীণ দূরত্ব মেটানো, পুরনো ইউপিএ শরিকদের ধরে রাখা ও নতুন শরিকদের কাছে টানা খড়্গের প্রধান চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। এ জন্য গোটা দলকে এককাট্টা করতে খড়্গের দায়িত্বভার গ্রহণের সময় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য, প্রদেশ সভাপতি, বিধানসভা ও বিধান পরিষদীয় দলের নেতা, সাংসদ, রাজ্যের মন্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পরিষদীয় দলনেতা, এআইসিসি-র পদাধিকারী, গণসংগঠনের প্রধানদের দিল্লিতে তলব করা হয়েছে।
জগজীবন রামের পরে এই প্রথম কোনও দলিত নেতা কংগ্রেস সভাপতির আসনে। স্বাভাবিক ভাবেই কংগ্রেস দলিত ভোটব্যাঙ্ক ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে বুঝে দলিত নেত্রী মায়াবতী অভিযোগ তুলেছেন, কংগ্রেস ভীমরাও অম্বেডকরকে অবহেলা করেছে। দলের সুসময়ে দলিতদের রক্ষা করেনি। খারাপ সময়ে দলিতদের কাজে লাগাতে চেয়েছে। বিজেপি নেতা অমিত মালবীয়ের অভিযোগ, কংগ্রেস নির্বাচনে খড়্গে ৮৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ৯০ শতাংশ ভোট পেলে শশী তারুর নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলতে পারতেন। সেই অভিযোগও দেওয়া হয়নি। পুরোটাই প্রহসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy