প্রতীকী ছবি।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন নাস্তানাবুদ ভারত, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলির পরিস্থিতিও। নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো দেশে প্রতিশ্রুতিমাফিক প্রতিষেধক পাঠাতে না পারায়, সে সব দেশে বড় সংখ্যক মানুষ বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই বসে রয়েছেন শুধুমাত্র প্রথম দফার টিকা নিয়ে। ফলে প্রতিবেশী-নীতির প্রশ্নে একটা চাপ তো সাউথ ব্লকের উপর রয়েছেই। পাশাপাশি দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া দেশগুলিতে অতিমারির বাড়বাডন্ত স্বাভাবিকভাবেই ভারতের জন্য উদ্বেগের। এই মুহূর্তে প্রতিবেশী দেশে যাতায়াতে রাশ টানা রয়েছে। রয়েছে নিয়মিত পরীক্ষার ব্যবস্থাও। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে তা কত দিন টানা ধরে রাখা যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রাখলে কেন্দ্রীয় সরকার এবং সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্যগুলির জন্য বিষয়টি যথেষ্ট চিন্তার।
বাংলাদেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তো রয়েছে। পাশাপাশি নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ এবং পাকিস্তানেও কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্ত। গত বছর অতিমারির প্রথম পর্যায়ে পরিস্থিত ভালভাবে সামলে আন্তর্জাতিক প্রশংসা কুড়িয়েছিল কলম্বো। তবে বছরের শেষে মোট সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ে। তারপর কিছু দিন পরিস্থিতি আয়ত্তে থাকার পর এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আবার দ্বীপরাষ্ট্রটিতে ছড়াতে থাকে কোভিড। এই মুহুর্তে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পঁচিশ হাজার, যে শ্রীলঙ্কায় এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
নেপালের পরিস্থিতি অবশ্য তুলনামূলকভাবে বেশি খারাপ। এই মুহুর্তে সে দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা সওয়া চার লাখের কাছাকাছি। মৃত্যু চার হাজারের বেশি। ভারতের মতোই সেখানে বেড, অক্সিজেনের হাহাকার। পরিস্থিতি সামাল দিতে লকডাউন করতে হয়েছে কাঠমান্ডু এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে। নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা দুটি দেশেই প্রতিষেধক কর্মসূচি থমকে গিয়েছে ভারত রফতানি বন্ধ করায়। আপাতত চিনের ভরসায় রয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy