এই কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টেই তিন আইএএস পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। ফাইল চিত্র।
নিয়ম ভেঙেই বেসমেন্টে পড়ানো হচ্ছিল। শুধু তা-ই নয়, বেসমেন্টে কোনও নিকাশি ব্যবস্থাও ছিল না। তদন্তে এমনই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। দিল্লির রাজেন্দ্রনগরের তিন আইএএস পড়ুয়ার মৃত্যুতে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছিল। বুধবার সেই তদন্তের রিপোর্ট রাজস্ব দফতরের কাছে জমা পড়েছে। সেই তদন্ত রিপোর্টে দিল্লি পুরসভার আবাসন দফতরের আধিকারিকদের গাফিলতির কথা উঠে এসেছে। এমনকি, এই ঘটনার জন্য কোচিং সেন্টারের মালিক, তাঁদের ব্যবস্থাপনায় গাফিলতির বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।
তদন্ত রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্ঘটনার আগেও নিয়ম ভাঙার জন্য কোচিং সেন্টারের মালিককে নোটিস দেওয়া হয়েছিল পুরসভা এবং দমকল বিভাগের তরফে। কোচিং সেন্টারের মালিক যে নিয়ম ভেঙে বেসমেন্টে পড়ানোর ব্যবসা চালাচ্ছেন, সে কথা জানার পরেও প্রশাসনের তরফে কোনও রকম পদক্ষেপ করা হয়নি। শুধু তা-ই নয় রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যে একটি অফিস বা ব্যবসার কাজ করা হবে বলে দেখানো হয়েছিল। ফলে দমকলের কাছ থেকে ‘নো অবজেকশন’ শংসাপত্রের প্রয়োজন পড়েনি। পরে ওই বাড়িটিকেই কোচিং সেন্টার হিসাবে গড়ে তোলা হয়।
দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশের পর মঙ্গলবারই পুলিশের কাছ থেকে এই ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বুধবারই এই মামলায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তার পরই রাজেন্দ্রনগরের ওই কোচিং সেন্টারে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন। সিবিআই সূত্রে খবর, কোচিং সেন্টারের মালিক অভিষেক গুপ্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, গাফিলতির জেরে মৃত্যু, ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত, গাফিলতি-সহ বেশ কিছু ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
গত ২৭ জুলাই রাজেন্দ্রনগরের কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে বৃষ্টির জল ঢুকে যায়। সেই জলে ডুবে মৃত্যু হয় শ্রেয়া যাদব (২৫), তানিয়া সোনি (২৫) এবং নেভিন ডেলভিন নামে তিন আইএএস পড়ুয়ার। সেই ঘটনায় উত্তাল হয় রাজধানী। পড়ুয়ারা রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy