—প্রতীকী চিত্র।
রাজস্থানের কোটায় আবার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। মৃত্যু হল ১৭ বছরের এক ছাত্রের। গত দু’বছর ধরে কোটায় ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। কী কারণে এই আত্মহত্যা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওই ছাত্র এ বছর নিট পরীক্ষা দিয়েছিলেন কি না, তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে।
কোটায় একটি কোচিং সেন্টারে পড়তেন ওই ছাত্র। ঝাড়খণ্ড থেকে কোটায় পড়তে গিয়েছিলেন তিনি। থাকতেন হস্টেলে। ছাত্রের পরিবার জানিয়েছে, গত বুধবার থেকে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার তাই তড়িঘড়ি হস্টেলে ফোন করেন ছাত্রের বাবা-মা। তখনই টনক নড়ে হস্টেল কর্তৃপক্ষেরও। তাঁরা জানান, বুধবার রাতের পর থেকে ওই ছাত্রকে দেখা যায়নি। তিনি ঘর থেকেও বেরোননি। এর পরেই তাঁর ঘরের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি শুরু হয়। কিন্তু সাড়া মেলেনি।
হস্টেলের ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দাদাবাড়ির স্টেশন হাউস অফিসার নরেশ মীনা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ওই ছাত্র নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারে পড়তেন। কিন্তু এ বছর পরীক্ষা দিয়েছিলেন কি না, দিলে কেমন রেজাল্ট করেছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পরিবারও সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি। পরীক্ষার রেজাল্টের কারণে ওই ছাত্র মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ছাত্রের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর সহপাঠীদেরও এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’
এ ক্ষেত্রে হস্টেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, গত কয়েক মাসে পর পর আত্মহত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর স্থানীয় জেলা প্রশাসন কোটার সমস্ত হস্টেলে স্প্রিং-পাখা লাগানোর নিদান দিয়েছিল। যাতে ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যার প্রবণতা কমে। কিন্তু ওই হস্টেলে তা ছিল না। সে বিষয়েও কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
এই নিয়ে চলতি বছরে কোটায় ১২ জন ছাত্রের আত্মহত্যার খবর প্রকাশ্যে এল। গত বছর মোট ২৭ জন পড়ুয়া কোটায় আত্মহত্যা করেছিলেন। প্রত্যেকেই কোনও না কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোটায় গিয়েছিলেন। যে হারে কোটায় আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে, তাতে উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy