উত্তরাখণ্ডের মানা গ্রামে তুষারধসের ঘটনার তিন দিনও পেরোয়নি। সেই আবহেই ফের তুষারধসের সতর্কতা জারি করল জাতীয় দুর্ষোগ মোকাবিলা দফতর (এনডিএমএ)। পূর্বাভাস বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ড এবং জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু অংশে মাঝারি থেকে বিপজ্জনক পর্যায়ের তুষারধস হতে পারে।
এনডিএমএ জানিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের চামোলি, পিথোরাগড়, রুদ্রপ্রয়াগ এবং উত্তরকাশী জেলায় তুষারধসের সতর্কতা জারি হয়েছে। সতর্কতা জারি হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলাতেও। আগামী দু’দিন ওই এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সজাগ রয়েছে প্রশাসনও।
আরও পড়ুন:
শুক্রবার দুপুরে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় বদরীনাথ থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে মানা গ্রামে তুষারধস নামে। সেই সময় ওই এলাকায় কাজ করছিলেন বিআরও-র বেশ কয়েক জন শ্রমিক। গ্রামে তাঁদের একটি ক্যাম্পও ছিল। ওই ক্যাম্পের কাছেই তুষারধস নামে। আটটি কন্টেনার এবং একটি ছাউনির নীচে মোট ৫৪ জন শ্রমিক আটকে পড়েন। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তো বটেই, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশও (আইটিবিপি)। ভারতীয় সেনাও হাত লাগায় উদ্ধারকাজে। শুধু হেলিকপ্টারই নয়, ‘ভিকটিম লোকেটিং ক্যামেরা’ (ভিএলসি), থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা এমনকি উদ্ধারকারী কুকুরের দলকেও উদ্ধারকাজে লাগানো হয়। কিন্তু ৪৬ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা সম্ভব হলেও শেষমেশ মৃত্যু হয় আট জন শ্রমিকের। রবিবার বিকেলে আটকে থাকা শেষ শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। সেই আবহেই এ বার নতুন করে তুষারধসের পূর্বাভাসে আশঙ্কায় স্থানীয়েরা।