Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

অপরাধ-তথ্যে নেই গণপিটুনিতে হত্যা

নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে দেশের নানা প্রান্তে গণপিটুনিতে খুনের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু ২০১৬ সালের পরিস্থিতি নিয়ে এনসিআরবি-র রিপোর্টেও সেই তথ্য ছিল না।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৩৩
Share: Save:

ভারতে গণপিটুনিতে খুনের সংখ্যা কত তা এ বারও নিজেদের রিপোর্টে উল্লেখ করল না ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরো’ (এনসিআরবি)। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা কমেছে। তবে সংঘর্ষের তীব্রতা বেড়েছে।

নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে দেশের নানা প্রান্তে গণপিটুনিতে খুনের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু ২০১৬ সালের পরিস্থিতি নিয়ে এনসিআরবি-র রিপোর্টেও সেই তথ্য ছিল না। ২০১৭ সালের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্টেও সে কথা নেই। এনসিআরবি সূত্রের খবর, সংস্থার প্রাক্তন অধিকর্তা ইশ কুমারের আমলে তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়। খুনের তথ্যের অধীনে গণপিটুনি ও ধর্মীয় কারণে খুন নিয়ে আলাদা অংশ তৈরি হয়। কিন্তু সেই তথ্য এ বারও প্রকাশিত না হওয়ায় বিস্মিত এনসিআরবি কর্মীরাই। তথ্য সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা এক এনসিআরবি আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। কেন তা প্রকাশ করা হল না তা শীর্ষ কর্তারাই বলতে পারবেন।’’ খাপ পঞ্চায়েতের নির্দেশে খুনের অভিযোগেরও উল্লেখ নেই এই রিপোর্টে।

সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ সালে দেশে ৫৮,৮৩০টি গোষ্ঠী সংঘর্ষের মামলা দায়ের হয়েছে। তাতে নিহত হয়েছেন ৯০,৩৯৪ জন। ২০১৬ সালে ৬১,৯৭৪টি গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তাতে নিহত হয়েছিলেন ৭৩,৭৪৪ জন। ফলে, সংঘর্ষের সংখ্যা কিছুটা কমলেও তীব্রতা বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। গোষ্ঠী সংঘর্ষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে সংঘর্ষ, জাতপাতের লড়াই, রাজনৈতিক হিংসা, ছাত্র বিক্ষোভের ঘটনাকেই ধরা হয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy