মঙ্গলবার লখনউয়ে কিং জর্জ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ ঘণ্টার অনশনে জুনিয়র ডাক্তারেরা। —নিজস্ব চিত্র।
বাংলায় ‘আমরণ অনশনরত’ জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশব্যাপী অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জুনিয়র ডাক্তারদের শাখা মঙ্গলবার এই অনশনের ডাক দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে কেরল, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জুনিয়র ডাক্তারেরা তাতে শামিল হয়েছেন। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার অনশন চলছে দেশ জুড়ে। শুরু হয়েছে সকাল ৬টা থেকে। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ১২ ঘণ্টার এই অনশন কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলার জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি সারা দেশে তুলে ধরতে চায় আইএমএ-র জুনিয়র ডাক্তারদের শাখা। লক্ষ্যের সঙ্গে সাজুয্য রেখেই কর্মসূচির নাম দেওয়া, ‘শোনো বাংলা, শোনো ভারত’।
লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, কেরলের ভেঞ্জরামোদুতে শ্রী গোকুলম মেডিক্যাল কলেজ-সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে চলছে ১২ ঘণ্টার অনশন। আইএমএ দেশের অন্যতম বড় চিকিৎসক সংগঠন। একটি বিবৃতিতে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারেরা মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার অনশনে বসেছেন। বাংলায় ‘আমরণ অনশনরত’ জুনিয়র ডাক্তারদের পরিস্থিতির কথাও ওই বিবৃতিতে তুলে ধরেছেন তাঁরা। কিছু দিন আগেই ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চে এসেছিলেন আইএমএ-র সর্বভারতীয় সভাপতি আরভি অশোকন। ‘আমরণ অনশনে’ বসে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের পরিস্থিতি নিয়ে নিজে দেখে গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেছেন।
মঙ্গলবার প্রকাশ করা বিবৃতিতেও ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশনরত’ জুনিয়র ডাক্তারদের শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরেছে আইএমএ। পাঁচ জন অনশনকারী যে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, সে কথাও উল্লেখ করেছে তারা। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “পাঁচ জন জুনিয়র ডাক্তারকে আইএসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা ভাল নয়।” জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিদাওয়াগুলিও চাইলেই মেনে নেওয়া যায় বলে মনে করছে আইএমএ। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই দাবিগুলিকে নিয়ে গা-ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ দেশের বৃহত্তম চিকিৎসক সংগঠনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy